আমাদের ভারত, ২১ সেপ্টেম্বর: মোদী শ্মরনাং গাচ্ছামি করলে বেঁচে যাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন। কোন চান্স নেই। বাঁচবেন না। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ক্লিনচিট প্রসঙ্গে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
উত্তরবঙ্গে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে খারাপ বললেও প্রধানমন্ত্রীকে ভালো বলেছেন। আর আজ তা নিয়েই সুকান্ত বলেন, “এখন মোদীর স্মরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাঁচার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে লাভ হবে না।”
এদিন কুরমিদের রেল অবরোধ নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। সাধারণ মানুষের কোথায় কি অসুবিধা হচ্ছে তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। প্রশাসনের চিন্তা হচ্ছে পরিবারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা সেটা দেখা। নিজের পরিবারের লোক দুধে ভাতে থাকলেই হবে। আমার আপনার পরিবার না থাকলে তাদের কিছু আসে যায় না।”
উত্তরবঙ্গে দলের কৃষক মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির কিষান মোর্চার সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যর গ্রেপ্তারি নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, উপাচার্যের গ্রেপ্তারি লজ্জাজনক বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর তাও লজ্জা নেই। উত্তরবঙ্গের মানুষের হাসপাতাল ছিল না। টাকা ছিল না। কিন্তু আত্মসম্মান ছিল। মান সম্মানটা ছিল। কিন্তু পরেশ অধিকারী ও সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই দুজনের জন্য উত্তরবঙ্গের মানুষের মান সম্মানটাও গেল। যিনি গ্রেপ্তার হয়ে গিয়েছেন তাকে উপাচার্য রাখা মানে উত্তরবঙ্গের মানুষকে অপমান করা। রাজ্য চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্র তদন্ত করতেই পারে।
শিলিগুড়ির ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারে তথা মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যের কোনো ভূমিকা নেই। আর কয়েকদিন পর রাজ্য সরকার জানাবে ডেঙ্গি লেখা যাবে না। অন্য কিছু লিখতে হবে। এটাই বরাবর করেন মুখ্যমন্ত্রীর। সেটাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারদর্শী।”