আমাদের ভারত, ১৭ জুলাই: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বসিরহাটের রাজনৈতিক হিংসায়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন সুকান্ত। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নাম্বার ওয়ান চোর। পারলে চন্দ্রযানও চুরি করতেন।
কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীই শুধু নন। তিনি এক নম্বর চোর। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীজি সেটা জানেন। ভারতবর্ষে চুরিতে যদি কেউ নোবেল পেতে পারেন তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত রকমের চুরি আছে রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে আকাশে, চন্দ্রযান যাচ্ছে চান্স পেলে ওটাও চুরি করে নিতে পারে।চান্স পায়নি তাই।”
সারদা কান্ড থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী জড়িত রয়েছেন এই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, নেতা নেত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে তলবও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। আর বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব বারবার বলেছে সব দুর্নীতির কাটমানি শেষ পর্যন্ত যায় কালীঘাটে।
এদিন বসিরহাট সহ উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকায় তৃণমূলের আক্রমণে ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত বাবু এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সঞ্জয় মন্ডলকে দেখতে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
এছাড়াও অশোকনগরের রাজীবপুর বিড়া পঞ্চায়েতের বিড়া এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসে, ১১২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী শ্রী শ্যামল দাসকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে। তার বাড়িতেও যান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই পঞ্চায়েতের ৯২ নম্বর বুথের বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচনের এজেন্ট অশোক কুমার বারিকের বাড়িতেও যান তিনি। ভোট গণনার দিন দুপুরে তার বাড়ি ও তার ৭টি দোকানে ভাঙ্গচুর চালায় তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার আক্রান্ত দুই পরিবারকেই আর্থিক সহযোগিতা স্বরূপ চেক তুলে দেন।