বাবরের সমর্থকদের নিয়ে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী দাঙ্গার পরিকল্পনা করছেন, মমতার সংহতি যাত্রার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১৭ জানুয়ারি: ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সংহতি যাত্রার বিরোধিতা করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, মু্খ্যমন্ত্রী ইচ্ছে করে ওইদিন দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি সুকান্তবাবু বলেন, “২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। সেদিন হিন্দু সমাজ প্রতিটি পাড়ায়, মন্দিরে মন্দিরে পুজো করবে। ভগবান রামের আরাধনা করবে। সেই সময় সর্বধর্ম সমন্বয়ের নামে এই মিছিল আসলে বাবরের সমর্থকদের নিয়ে দাপাদাপি করা হবে।”

সংহতি মিছিল বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে আদালতে গেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবুর বক্তব্য, “বাবরের সমর্থকদের নিয়ে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী দাঙ্গা করানোর পরিকল্পনা করছেন। মহামান্য আদালতের উচিত এই দাঙ্গা করানোর পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত মিছিলের যে পথ, তা শেষ হচ্ছে পার্ক সার্কাসে। তার মানেই পরিস্কার হচ্ছে ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার জন্য। সেদিন মন্দিরে মন্দিরে হিন্দুরা পুজো করবে। তাদের ওপর বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই চেষ্টায় ভারতীয় জনতা পার্টি ও হিন্দু সমাজ একত্রিত হয়ে প্রতিঘাত দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই দূরভিসন্ধি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।”

মিছিল বন্ধ করা ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছেন। সুকান্তবাবু এপ্রসঙ্গে বলেন, “অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। কারণ, বহু জায়গা আছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম। সেই সব জায়গায় তারা ধর্মীয় অনুশাসন পালন করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চেষ্টাই করছেন যাতে হিন্দুরা নিজেদের ধর্মীয় অনুশাসন পালন না করতে পারে।”

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনই রাজ্যে ‘সংহতি যাত্রা’র ডাক দিয়েছেন মমতা। কিন্তু ওই মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা করে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ওই দিন সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *