পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি: সভার একদিন আগেই মেদিনীপুরে হেলিকপ্টারে করে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়ের আগেই পৌঁছে যাওয়ার কারণে আরো বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শনের সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্ক প্রশাসন ও তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ বিকেল ৩টে ৪৫ নাগাদ মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী নামেন হেলিকপ্টারে করে।
১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা বারোটা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের মেদিনীপুর কলেজ মাঠে রয়েছে প্রশাসনিক সভা। ওই সভা থেকে সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা বিলি করবেন তিনি। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, বনদপ্তরের পরিষেবা, কৃষকদের বিভিন্ন পরিষেবা বিলি সহ ভাতা প্রদান, পাট্টা বিলি সবটাই হবে। থাকছে বেশ কিছু শিলান্যাস ও উদ্বোধন। সভা মঞ্চ থেকে ৬৫ জনকে পরিষেবা তুলে দেবেন তিনি। পরে ওই মঞ্চ থেকেই জেলার আধিকারিকরা ১৭৯৫ জনকে পরিষেবা বিলি করবেন। এরপর জেলা জুড়ে মোট ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪১ জনকে আরও বিভিন্ন পরিষেবা বিলি করা হবে বিভিন্ন ব্লক থেকে। তবে এদিন মঞ্চ থেকে ৪৫ টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৫১ টি প্রকল্পের শিলন্যাস করবেন তিনি, ৩০ টি গ্রামীন রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু হবে৷ মঞ্চ থেকে ৭৫৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলন্যাস করবেন তিনি৷
এদিন কলেজ মাঠে নেমে সেখান থেকে সামনেই মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।সার্কিট হাউসে প্রবেশ করার আগে সার্কিট হাউস মোড়ে থাকা জটলার সামনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন৷ কথা বলেন স্থানীয়দের সাথে৷ সেখানে থাকা একটি ছোটো শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন৷ এই মুহূর্তে মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসব। মুখ্যমন্ত্রীর সেই উৎসবেও যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিকাঠামো পরিদর্শনও করতে পারেন তিনি।বৃহস্পতিবারের সভা ছাড়াও অতিরিক্ত দুটি কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শন হতে পারে এমন ভেবে আরও অতিরিক্ত সতর্ক হচ্ছে প্রশাসন থেকে শাসক দল সকলে। তবে সার্কিট হাউসে প্রবেশ করার পরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে ও জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন৷