রাজেন রায়, কলকাতা, ৪ নভেম্বর: বি়ধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জাতি-উপজাতিগুলির প্রতি কে বেশি জনদরদী, তা প্রমাণ করতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির টক্কর। ইতিমধ্যেই বঙ্গ সফরে এসে মতুয়া গৃহে ভোজনের কথা জানিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তার পা রাখার আগের মুহূর্তেই রীতিমতো চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির কথা ঘোষণা করে তার জন্য বরাদ্দ করলেন ১০ কোটি টাকা।
এবারের সফরে উদ্বাস্তু পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করতে যাবেন অমিত শাহ। তার আগেই বুধবার নবান্নে মতুয়া–সহ তফশিলি, নমঃশূদ্র, মাঝি, বাগদি, বাউড়ি, ডোকরা— বিভিন্ন জাতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ ছাড়াও বাউড়ি ও দুলেদের নিয়ে একটি উন্নয়ন পর্ষদ এবং বাগদি ও মাঝি সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য ভিন্ন দুটি পর্ষদ গঠন করার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি পর্ষদ বা ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে দেওয়া হবে ৫ কোটি টাকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপি–কে আক্রমণ করে বলেন, ‘এই সব সম্প্রদায়ের কথা কেউ আগে চিন্তা করেনি। ভোটের সময় সব বড় বড় কথা বলে। আমি কিন্তু বরাবর এদের পাশে রয়েছি।
এছাড়াও এদিন ডোকরা ও ছৌ শিল্পীদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় আনার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “ওই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে।” নদিয়ার মতুয়া গোষ্ঠীর আবেদন অনুযায়ী এদিন মুখ্যমন্ত্রী ২ টি অ্যাম্বুল্যান্স দেন। এছাড়াও তপশিলি, বাগদি, বাউরি-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তু বেশ কিছু মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। জানান, আরও ১.২৫ লক্ষ মানুষের হাতে ভাগে ভাগে পাট্টা তুলে দেওয়া হবে। পুরুলিয়ায় ছৌ শিল্পীদের জন্য একটি কমিউনিটি হল তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, কর্মস্থানের লক্ষ্যে ২ লক্ষ মানুষকে বাইকের জন্য ঋণ প্রদানের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।