আমাদের ভারত, আরামবাগ, ৬ জানুয়ারি: “এনআরসি এবং সিএএ রাজ্যে হবে কি হবে না তা সম্পূর্ণ কেন্দ্র সরকার ঠিক করবে। রাজ্য সরকারের এতে মাথা ঘামানোর কোনও দরকার নাই” বলে আরামবাগে বিজেপির অভিনন্দন মিছিলে যোগ দিতে এসে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন। রাজ্যে এনআরসি ও সিএএ’র সমর্থনে এদিন আরামবাগে বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষের নেতৃত্বে অভিনন্দন মিছিল হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার, রাজ্য নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অরবিন্দ সমাজি, অতনু চ্যাটার্জি, সুমন তিওয়ারি, অসিত কুন্ডু সহ আরামবাগ এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
এদিন এই মিছিলে প্রায় ১৫ হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক পথে নামেন। সোমবার বিকেলে দৌলতপুর বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে হসপিটাল মোড়, গৌরহাটি মোড়, আরামবাগ বাজার হয়ে মিছিলটি শেষ হয় দৌলতপুর বিজেপির কার্যালয়ের কাছে। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে আরামবাগ এসডিও কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। সায়ন্তন বসু আরোও বলেন “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রুখতে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও একসময় বলেছিলেন তার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে, তবুও ৩৭০ ধারা কাশ্মীরে হয়েছিল। মেহবুবা মুফতি বেঁচেও আছেন, ভালো আছেন “ঠিক একইভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি হতে দেবেন না এমনটা হাস্যকর বলে জানান তিনি। এদিন এই বিজেপির মিছিলে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন।
একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এনআরসি’র বিরোধিতায় যখন আরামবাগ লোকসভা এলাকায় বিভিন্ন মিটিং মিছিল হচ্ছে, অপরদিকে আরামবাগে একই এলাকায় আজকের বিজেপির এনআরসি’র সমর্থনে অভিনন্দন মিছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।