“বড় দাদাদের নির্দেশ ছাড়া সিবিআই কিছুই করবে না,” নেতাই শহিদ দিবসে গিয়ে মন্তব্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৭ জানুয়ারি: “১৩ বছর হয়ে গেল নেতাইয়ের ঘটনার ট্রায়াল শেষ করতে পারলো না সিবিআই। কতগুলো বছর কেটে গিয়েছে সিবিআই কিছু করতে পারেনি, আসলে সিবিআই করবে না। সিবিআই, উপরের বড় দাদা অর্থাৎ কেন্দ্রের মন্ত্রী যারা রয়েছে, যথা অমিত শাহ, প্রধান মন্ত্রী, তাদের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করবে না”। রবিবার লালগড়ের নেতাই গ্রামে নেতাই শহিদ দিবসে শহিদ তর্পণে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের প্রতীক ছাড়াই নেতাই শহিদ দিবস পালন করা হয়। নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিতি ছিলেন সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজ্যের মন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূলের একাধিক নেতা ও নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি নন্টু অধিকারী সহ কমিটির অনান্য সদস্যরা।

নেতাই শহিদ বেদীতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিতি সকলেই মাল্যদানের মাধ্যমে শহিদ তর্পণ করেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ ব্যানার্জি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাই গ্রামে সিপিএম নেতা রথিন দন্ডপাটের দোতলা বাড়ি থেকে প্রতিবাদী মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। নিরস্ত্র ওই জমায়েতে ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪ মহিলা সহ ৯ জন এবং আহত হয়েছিলেন ২৮ জন। রাজ্যে পালা বদলের পর নিহত পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেয়েছেন। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *