দুর্গাপুরে দিদিকে খুনের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ১৮ জুলাই: ভর দুপুরে ছাদে উঠে দিদি’কে ইঁট দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে খুনের করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধা মায়ের কাতর আবেদনেও রেয়াত দেয়নি অভিযুক্ত ভাই। রবিবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের আভিজাত বিধাননগর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত ভাই মলয় চট্টোপাধ্যায়’কে আটক করেছে। পুলিস সুত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম নূপুর চট্টোপাধ্যায় (৪৪)।

বিধাননগর স্টিল পার্ক এলাকার বাসিন্দা বছর ৭৪ এর মঞ্জুরানী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী স্বর্গীয় কালী চট্টোপাধ্যায়। ডিএসপি’র কর্মী ছিলেন। বছর ৪২ এর একমাত্র ছেলে মলয় চট্টোপাধ্যায় ও একমাত্র মেয়ে নুপুর চট্টোপাধ্যায়।
মলয় চট্টোপাধ্যায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের ল্যাবের কর্মী। নূপুর চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছে হাওড়া’তে। তাঁর কোনও সন্তান নেই। তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাপের বাড়ি দুর্গাপুরে এসেছিলেন। লকডাউন থাকায় শ্বশুর বাড়ি ফিরতে পারেনি। দিদি ও মা’য়ের সঙ্গে ভাইয়ের প্রায়ই বচসা হত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। একাধিকবার সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। এদিনও ফের দিদি ভাইয়ের বচসা হয়। বচসার পর দুপুর তিনটে নাগাদ নূপুরদেবী ছাদে ভিজে জামাকাপড় শুকাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই সময় অভিযুক্ত ভাই তাঁকে ইঁট দিয়ে থেঁতলে থেঁতলে খুন করে বলে অভিযোগ।

চিৎকার শুনে তার মা মঞ্জুরানীদেবী তড়িঘড়ি ছাদে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। চিৎকার করে এলাকাবাসী’কে ডাকেন এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিস এসে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতার মা মঞ্জুরানীদেবী বলেন, “আমার ছেলে একই বাড়িতে থেকে ও আলাদা রান্নাবান্না করে খায়। আমি নিজের টাকায় আলাদা রান্না করে খাওয়াদাওয়া করি। আমার ও আমার মেয়ের সঙ্গে প্রায়ই বিবাদ হত তার। কিন্তু বচসার কারণে এই ভাবে খুন করবে ভাবতে পারিনি। মৃতদণ্ডের দাবি করছি ছেলের।” আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, অভিযুক্ত’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *