সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৫ জুন: নির্ধারিত সময়ে সংস্কারের কাজ শেষ করে রবিবার থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর নির্মিত সেতু সড়ক জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে এদিন পর্যবেক্ষণের জন্য বড় বড় ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। চলবে যাত্রীবাহী বাস চার ও দু’চাকার গাড়ি। বাঁকুড়া সেচও পূর্ত দফতর ১৪ জুনের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করে। কাজ শেষ হতেই সেতু পরিদর্শন করেন সেচ দফতরের এক আধিকারিক দেবাশিস সেনগুপ্ত, বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি। দেবাশিসবাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে ট্রাক ডাম্পার সহ পন্যবাহী ভারী গাড়িও চলাচল করবে।
বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, দামোদরের উপর এই সেতু ৭২ বছরের পুরনো। ২৪ ঘন্টাই ব্যস্ত থাকে এই সেতুটি। তাই আরেকটি বিকল্প সেতু ও বড়জোড়ায় উড়ালপুলের দাবি জানিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সংস্কারের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথটি দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকলে পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া এই দুই জেলার শিল্পাঞ্চল সহ বিস্তীর্ণ এলাকার পরিবহণ ব্যবস্থার বিকল্প কী হবে তা ভাবিয়ে তুলেছিল দুই জেলার প্রশাসনকে। দ্রুতগতিতে ব্যারেজের ডাউনস্ট্রিমে ডাইভার্ট রাস্তা তৈরি করা হয়। ভারী যানবাহন বাঁকুড়া- রাণীগঞ্জ ৬০ নং জাতীয় সড়কের মেজিয়া সেতু দিয়ে রাতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। এতে মেজিয়া ও রানিগঞ্জ এলাকায় ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে নিত্য যাতায়াতকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল। সেই অসহনীয় যন্ত্রণার অবসান হতে চলেছে শুনে সর্বস্তরের সকলেই খুশি।
দুর্গাপুর ব্যারেজের এই সেতু দিয়ে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যারেজের উপরের রাস্তা বেহাল অবস্থায় ছিল। ব্যারেজে ৩৪টি লকগেট রয়েছে। ১ থেকে ২৯ নম্বর লকগেট পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৪ নম্বর লকগেট পর্যন্ত রাস্তা ঠিক ছিল। তাই সেই অংশ মেরামত করা হয়নি। ১ মে থেকে এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। যতদিন কাজ চলেছে, ততদিন পণ্যবাহী ট্রাক রানিগঞ্জ, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতো। ছোট গাড়ি, বাইক ও স্কুটি ব্যারেজের ডাউনস্ট্রিমের বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে।