আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৮ মার্চ: সিউড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটলো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এদিন রাত ২:৫০ থেকে শুরু হয় এই বোমাবাজি এবং তা চলে প্রায় পৌনে তিনটে পর্যন্ত। ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ সিউড়ি পৌরসভার অন্তর্গত তিন নম্বর ওয়ার্ডের সোনাতোড় রক্ষাকালী তলার বাসিন্দা।
বাড়ির সামনে ১৫টির কাছাকাছি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ ভাইস-চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউয়ের। খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে এইভাবে বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে লক্ষ্য করা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে ছয়জন দুষ্কৃতী তিনটি মোটর বাইকে আসেন ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে। তারপর শুরু হয় তার বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ। ১৫ মিনিটের কাছাকাছি সময় ধরে চলে এই বোমাবাজি। এরপর তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন।
এমন বোমাবাজির ঘটনায় বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায় এবং দরজা ও অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষতি হয়। এছাড়াও এই ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে প্রতিবেশীরা যে সকল যানবাহন দেখে থাকে সেগুলির উপরেও বোমাবাজি করা হয়। তবে এই বোমাবাজির ঘটনা কে বা কারা ঘটালে তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ।
বিদ্যাসাগর সাউ সিউড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও তার ছেলে বিক্রমজিত সাউ বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কার উপর শত্রুতার জেরে এই বোমাবাজি।
যদিও বিদ্যাসাগর সাউ এবং বিক্রমজিত সাউ দু’জনেই দাবি করেছেন, তাদের সঙ্গে কারোর শত্রুতা আছে বলে তাদের জানা নেই। তারা রাজনীতি করেন এবং আপদে-বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান। এখন এই ঘটনাই বা কারা ঘটাতে পারে তা তারা টের পাচ্ছেন না। তবে তারা দাবি করেছেন, যে ধরনের বোমা ফাটানো হয়েছে তা কেবল মাত্র তাদের ভয় দেখানোর জন্য পাঠানো হয়েছে।