আমাদের ভারত, ২৪ জানুয়ারি: শুন্যে গুলি ছুড়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা চলছে। আর চারিদিকে উৎসাহী জনতার ভিড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মালদার নুরপুর টিপটপ ক্লাব সহ স্থানীয় প্রশাসন। এই ভিডিও পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ক্লাবের ভলিবল খেলায় চমক দিতেই নাকি শূন্যে গুলি ছোড়া হয়েছে। তবে চমক দিতে এক দুই রাউন্ড নয়, চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বন্দুকের গুলির আওয়াজ বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। আর পাঁচটা ক্লাবের থেকে আলাদা কিছু করার জন্যই নাকি এই উদ্যোগ ক্লাব কর্তৃপক্ষের। গুলি চলার ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন পুলিশ প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে কেবল একটি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন এই ধরনের বেআইনি কাজ করা হলো? আইনের তোয়াক্কা না করে গুলি ছোড়ার দুঃসাহস কিভাবে দেখালো ক্লাব কর্তৃপক্ষ?
এই ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে লিখেছেন, “ভালো করেছেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার দক্ষ নেতৃত্বেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র শিল্প এত সফলতার সাথে বিকাশ লাভ করেছে!
দিদির দুর্বৃত্তদের রাজত্বে বিখ্যাত শিল্পপতিরা রাজ্য থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু দিদির রাজত্বে দুর্বৃত্তদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির শিল্প দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। শূন্যে গুলি ছুড়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন! মালদহের মাণিকচকের এই জঘন্য দৃশ্য তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যদিও অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগত চপ্পল ছাপ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নাকি এখন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অত্যন্ত ব্যস্ত! ব্রাভো!”
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারে তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুন হয়েছে। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু এখনো এই ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি অধরা। তারই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কালিয়াচকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছে। এই এত কিছুর মধ্যে কেবল ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে শূন্যে গুলি চলার ঘটনা নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে।