অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম,১৯ ডিসেম্বর: নয়াগ্ৰাম থানা এলাকার খড়িকামাথানী এলাকা থেকে উদ্ধার হল প্রেমিক প্রেমিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। সোমবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় খড়িকামাথানী এলাকায়।
জানা গেছে, মৃত প্রেমিক যুবকের নাম সঞ্জয় মল্লিক তার বাড়ি সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কুস্তরিয়া গ্রামে। মৃত কিশোরী প্রেমিকার নাম মাম্পি মাহাতো, বাড়ি সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কালসোনা গ্রামে। সঞ্জয়ের হাত ধরে মাম্পি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাম্পির পরিবারের পক্ষ থেকে গত কিছুদিন আগে সাঁকরাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নাবালিকা অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে এবং সঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়ে সঞ্জয়কে না পেয়ে সঞ্জয়ের মা টুলু মল্লিককে গত শনিবার সকালে গ্রেফতার করেছিল। শনিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে টুনু মল্লিককে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
দিয়েছিল। তারপর টুনু মল্লিককে রবিবার ফের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় একদিকে মা যখন জেলবন্দি ঠিক সেই সময় প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো এলাকায় শোকের ছায়া। এদিন সকালে নয়াগ্রাম থানার অন্তর্গত খড়িকামাথানি এলাকার নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন জঙ্গলে একটি গাছের মধ্যে একটি চাদরের সাহায্যে দু’জনকে একসঙ্গে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় মানুষজন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নয়াগ্রাম থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে সিন্দুরের কৌটো। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, গতকাল অর্থাৎ রবিবার খড়িকামাথানি এলাকায় বাড়ি ভাড়ার সন্ধান করছিল তারা। মানসিক অবসাদের জেরে নিজেরা জঙ্গলের মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করে আত্মঘাতী হয়েছেন।
নয়াগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।