স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৬ মার্চ: এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়গঞ্জের ভট্টদিঘি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঐ গৃহবধূর নাম পারুল খাতুন (২৯)। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই পারুলকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, তার স্বামী গফুর মহম্মদ বিয়ের পর থেকেই পারুলের উপর শারিরীক নির্যাতন চালাতো। শুধু স্বামীই নয়, তার শাশুড়ি সহ শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে মারধর করত বলে অভিযোগ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে এই অত্যাচার চলত বলে দাবি।
এদিকে শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘি গ্রামের ইটভাটা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাঁশ ঝাড়ের পাশে পারুলের মৃতদেহ আগলে তার স্বামীকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পারুলের স্বামী গফুর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রথমে বাঁশঝাড়ে ঝুলিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে নামিয়ে কিছুটা দূরত্বে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রকাশ্যেই মারধর করা হয় গফুরকে।
যদিও সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গফুর মহম্মদ। মৃতার মা আসেমা খাতুন বলেন, মাঝে মধ্যেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাতো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। দাবি মতো টাকাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অত্যাচার কমেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকেরাই তার মেয়েকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম সরকার বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা।
এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই মৃতদেহ আটকে চলে বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত বাড়তি পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।