পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২ মার্চ: সবুজ ঝড়ে ওলোটপালোট বালুরঘাট। সুকান্তর গড়েই ফুটলো ঘাসফুল। দুশ্চিন্তায় গেরুয়া শিবির, উচ্ছ্বাস তৃণমূল শিবিরে।
বুধবার দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার ২৫ টি আসনের ফলাফল প্রকাশ হতেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। ২ টি আসন বামেরা দখল করতে পারলেও খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির খাস তালুকেই শুন্য হয়ে ফিরতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। যাকে ঘিরে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিজেপি সভাপতি তথা এলাকার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও তাঁর দাবি, এটা মানুষের রায় নয়। তারা এই রায় মানেন না। এটা তৃণমূলের লুম্ফেনদের ছাপ্পা আর ধাপ্পাবাজির ফল।
এদিন বালুরঘাট পুর নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা শহরে। ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১টি আরএসপি ও ১ টি সিপিএম দখল করলেও বাকি ২৩ টি ওয়ার্ডেরই দখল নিয়েছে ঘাসফুল। আর যার জেরে বালুরঘাট পুরসভাতে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির খাস তালুকে এমন ভরাডুবিতে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছে পদ্ম শিবির। শুধু তাই নয়, সুকান্ত মজুমদারের নিজের ওয়ার্ড ২২ নম্বরের দখলও নিয়েছে তৃণমূল। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী ৫১২ ভোটে জিতলেও, দ্বিতীয় স্থানের দখল নিয়েছে বামেরা। ওয়ার্ডের প্রায় ১৯০০ ভোটারের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু চৌধুরী পেয়েছে মাত্র ২৬০ টি ভোট। যার মাধ্যমে সামনে এসেছে এলাকার সাংগঠনিক দুর্বলতাও।
যদিও এসব যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূলের ভোট লুটের মধ্যেও ছয়টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থান বিজেপি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তারা এই ফলাফলকে মানেন না। ভোটের দিনই তারা বলেছিলেন, সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূলের লুম্ফেনরা। বুথ দখল করে ছাপ্পা দিয়েছে তারা। যা তিনি নিজের ওয়ার্ডে গিয়ে চাক্ষুষ করেছেন।
রাজ্যের কৃষি বিপনন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, পুরভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়েছে মানুষের সাথে সুকান্তবাবুর কোনো যোগাযোগই নেই। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরের মানুষ দু’হাত তুলে মমতা ব্যানার্জিকে আশীর্বাদ করেছেন।