আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২০ জুলাই: তৃণমূলের পা ভেঙ্গে দেওয়ার নিদান দেওয়ার বদলা হাত কেটে নেওয়ার হুমকি। বিধানসভা নির্বাচনের দিন কাছিয়ে আসতেই উত্তপ্ত বীরভূমের রাজনীতি। শাসক ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেতাদের বক্তব্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত অন্যান্য বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর বটতলা মোড়ে বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে কর্মী সভায় ঝিকড্ডা অঞ্চলের বুথ সভাপতিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নিদান দেন, “বিজেপির যারা রেশন নিয়ে আন্দোলন করছিল তাদের পাগুলো ভেঙ্গে দিলি না? ইয়ার্কি বটে নাকি। কাজ নাই, কর্ম নাই ফ্ল্যাগ নিয়ে চলে যাবে আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবি নাকি? শোন আমি মুখে যা বলতে পারি কাজ কিন্তু বন্ধ রাখবি না। তাহলে ছাড়ব না কিন্তু বলে দিলাম”।
অনুব্রতর এই নিদান দেওয়ার পর রবিবার সন্ধ্যায় বটতলা মোড়ে পথ সভা করে বিজেপি। অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেই ওই পথ সভায় দলের জেলা কমিটির সদস্য মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিন কয়েক আগে তৃণমূলের হনুব্রত (অনুব্রত মণ্ডল) বলে গিয়েছিলেন রেশন নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের পা ভেঙ্গে দিন। আমি এখান থেকে কেষ্টা (অনুব্রত মণ্ডল) আপনাকে বলছি আপনার পিছনে থাকে কয়েকজন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী। কোনও পুরুষ মেয়ের মতো কথা বললে আমরা তাকে বলি ‘মেয়ে মুখো’। আপনি মেয়েদেরও অধম। আপনি বাঘের বাচ্চা বা পুরুষ মানুষ হলে মেয়ে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতেন না। আপনার কিংবা আপনার ভাইদের ক্ষমতা থাকলে একটা বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দিয়ে দেখান। যে হাত দিয়ে আপনার নেতারা আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেবে সেই হাত কেটে টুকরো টুকরো করে কুকুর শেয়ালকে খাওয়াব। আর যদি না পারি তা হলে আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী নয়”।
এনিয়ে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী বলেন, কংগ্রেস ভারতে স্বাধীনতা এনেছিল। আমরা হাত পা কাটার মতো হিংসার রাজনীতি করি না। আমরা ঘৃণা করি। আমরা অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই। গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়”।
কৃষক সভার জেলা কমিটির সম্পাদক অরূপ বাগ বলেন, “হিংসার রাজনীতি কাম্য নয়। আমরা হিংসার রাজনীতিকে সমর্থন করি না। ঘৃণা করি। রাজনীতি হবে শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে, আদর্শর মধ্যে দিয়ে। আমরা দলের কথা মানুষকে বলব। মানুষের জন্য কি করতে চাই তাই বলে রাজনীতি করব”।