নীল বনিক, আমাদের ভারত, ১৬ অক্টোবর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতে মৃতদেহ নিয়ে কলকাতায় অবস্থান বিক্ষোভ রাজ্য বিজেপির। পটাশপুরের দলীয় কর্মী মদন ঘরাইয়ের মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতেই বিজেপির রাজ্য দপ্তরের নিয়ে আসেন রাজ্য নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সারারাত মুরলীধর সেন লেনে মৃতদেহ আগলে রাখেন বিজেপি কর্মীরা।
আজ মৃতদেহ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চাপে রাখতে সকাল দশটার পর বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ততক্ষণে সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর চলে আসে বিজেপি রাজ্য সদরদপ্তরের ভিতরে রয়েছে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কলকাতার রাস্তায় মিছিল আটকাতে সকাল-সকাল বিজেপি রাজ্য সদরদপ্তরে ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির পক্ষ থেকে রটিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে কালীঘাটে যাবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আবার কখনও বলা হয় মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজভবনে। দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দুপুর দুটো পর্যন্ত টানটান স্নায়ুযুদ্ধ চালান কলকাতা পুলিশের সঙ্গে।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, মদন ঘড়াইকে হত্যা করেছে পুলিশ। তাই বিচারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নামবে বলে জানান তিনি। লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, পুলিশ জেরার নাম করে আমাদের দলীয় কর্মীকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর পুলিশ লকআপে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোককে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ খবর দেয়নি। ময়না তদন্তের সময় মৃতের বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের নামে একটি মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে দলীয় কর্মীর মৃত্যু হলে পূর্বতন বাম সরকারকে চাপে ফেলতে কর্মসূচি নিতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পথে হেঁটে এদিন মদন ঘরাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। এরপর মদন ঘড়াইয়ের মৃত্যুদেহ রাস্তায় নিয়ে আসতেই পুলিশশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। প্রতিবাদে মসোচ্চার হয়ে সেন্ট্রাল আ্যাভিনিউতে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে।