আমাদের ভারত, ১৪ জুলাই:
এতদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা সেভাবে না বললেও এবার একেবারে রাষ্ট্রপতির দরবারে গিয়ে রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি জানালো বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই, এখানে হিংসার রাজনীতি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এতদিন দলের বহু কর্মীদের খুন করা হয়েছে এবার জনপ্রতিনিধিকে খুন করা হয়েছে। তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তারা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছেন।
তাদের অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়কের খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। তাই রাজ্য সরকারের কোনো সংস্থার দ্বারা হওয়া তদন্ত বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। এছাড়া রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করার কথাও তাঁরা বলেছেন।

কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি সঙ্গে দেখা করে আজ। একটি তাঁরা দাবিপত্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেখানে রাজ্যের একাধিক হিংসার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপি তরফে। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে পুরুলিয়া ত্রিলোচন মাহাতো দুলাল কর্মকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও চিঠিতে গত তিন বছরে রাজ্যে ১০৫ জন বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
কৈলাশ বিজয় বর্গীয়ের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে এই রাজ্যে। এবার জনপ্রতিনিধিদের হত্যা করা শুরু হয়েছে। সাংসদদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার কথায় , রাজ্যে এমন অরাজকতা তৈরী হয়েছে যে ক্ষমতায় থাকার অধিকার হারিয়েছে তৃণমূল। তাই রাষ্ট্রপতিকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি তাঁরা করেছেন বলে জানান বিজয়বর্গীয়।
भाजपा ने आज माननीय राष्ट्रपतिजी को ज्ञापन देकर WB अराजक स्थिति की जानकारी दी! उन्हें बताया गया कि अभी तक इस राज्य में भाजपा सांसदों को क्षेत्र में जाने से रोका जा रहा था, अब वहाँ विधायकों की हत्या होने लगी है! ऐसी सरकार को बने रहने का अधिकार नहीं है, इसे तत्काल बर्खास्त किया जाए! pic.twitter.com/Htv1TxrFK9
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) July 14, 2020
এককথায়, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আত্মহত্যা নাকি খুন এখনো তা স্পষ্ট হয়নি।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে তার গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,
সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি দোকানের বারান্দা থেকে। পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায় বকে পুলিশের দাবি। দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবার মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ গভীর রাতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। বিজেপি ও পরিবারের সদস্যরা ঘটনায় তৃণমূলে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকেছিল বিজেপি।

