ফরাক্কায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিজেপির প্রতিনিধি দল, ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ

আমাদের ভারত, ফরাক্কা, ১৯ আগষ্ট: চোখের সামনে ভেঙ্গে যাচ্ছে ঘর, চোখের জলে হারাতে হচ্ছে ভিটেমাটি। ফরাক্কা ভাঙন পিছু ছাড়েনি এখনও। ফরাক্কা ব্লকের কুলিদিয়ার চর, নতুন করে ভাঙনের কবলে। আরও জমি সহ মাটির ভিটে তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। দফায় দফায় ভাঙ্গন অব্যাহত কুলিদিয়ার চরে।

গঙ্গার নদীর জল স্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে হোসেনপুর, কুলিদিয়ার চর এলাকার জমি সহ মাটিরভিটে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে প্লাবিত হয় কুলিদিয়ার চর গ্রামের একাংশ। জল ঢুকে যাওয়ার ফলে মাথায় হাত গ্রামের বাসিন্দাদের।

একদিকে করোনা ভাইরাস জেরে লক ডাউন চলছে সাপ্তাহিক ভাবে, অন্যদিকে লক ডাউন জেরে কর্মহীন বহু মানুষ। আর তার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক এখন গঙ্গা ভাঙ্গনের কবলে ভিটে ছাড়া বহু পরিবার। কয়েক দিন ধরে নতুন করে এই গঙ্গাভাঙ্গনের ফলে গৃহহীন অবস্থায় বহু পরিবার দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে।

বুধবার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন যান রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল। হোসেনপুর, কুলিদিয়ার চর, পার সুজাপুর ও চক বাহাদুরপুর পরিদর্শন করন জলপথে। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়, বিধায়ক স্বাধীন সরকার ও মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল এবং ফরাক্কা ব্লক সভাপতি অয়ন ঘোষ পরিদর্শন করেন। বিজেপি প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষও আজ এলাকা পরিদর্শন করেন। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ভাঙন কবলিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিজেপি সাংসদ সহ চার সদস্য প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করে কথা বলেন সাধারণ মানুষের সাথে। কীভাবে বর্তমানে দিন গুজরান করছেন তা জানতে চান। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সাথে। অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দারা ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রায় প্রতিবছরই গৃহহীন হন বহু পরিবার। বর্ষার সময় এই গঙ্গার ভাঙ্গনের প্রবনতা চরম রূপ নেয়। প্রায় দফায় দফায় গত এক সপ্তাহে ধরে ভাঙ্গন অব্যাহত। শুধু ভাঙ্গন নয়, গঙ্গার পার ভেঙ্গে জল ঢুকে গ্রামের একাংশ প্লাবিত হয়ে যায়।

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, একদিকে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব এটা রক্ষনা বেক্ষণ করা। আমরা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে কথা বলব। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধান জন্য রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এই ভাঙ্গন রোধের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *