আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৮ আগষ্ট: রাজকীয় অভ্যর্থনায় দলবদল বললেও বোধহয় কম বলা হয়। ‘দলবদলে’ রেকর্ড সৃষ্টিকারী বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষার কান্তি ভট্টাচার্য ফের পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাস ফুল শিবিরে যোগ দিলেন। শুক্রবার জেলা তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হয়ে সপারিষদ তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। পুস্পস্তবক, মালা ও ধর্মীয় বই হাতে ধরিয়ে বর্ষীয়াণ এই বিধায়ককে দলে স্বাগত জানালেন উপস্থিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী, প্রাক্তন মন্ত্রী, স্থানীয় পৌর প্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে হারিয়ে বিধানসভায় যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করে নেন তুষার কান্তি ভট্টাচার্য। পরে শিবির বদলে শাসক দলে যোগ দেন। সেখানেও বেশী দিন থাকেননি তিনি। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। অবশেষে এদিন আবারো ফিরে আসা ঘাস ফুল শিবিরে। সব মিলিয়ে জেলায় দলবদলে রেকর্ড সৃষ্টি করলেন বর্ষীয়ান এই বিধায়ক। এমনটাই বলছেন জেলা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
দলবদলকারী বিধায়ক তুষার কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, অভিমান করেই তৃণমূল ছেড়েছিলাম। বিজেপিতে কাজ করার সুযোগ ছিল না। তাই ফের এই দলে ফেরা। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জি যে কাজ করেছেন সারা পৃথিবীতে কেউ করতে পারবে না বলেও তিনি দাবি করেন।

তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, দু’পক্ষের মান অভিমান ছিল, মিটে গেছে। বিজেপিতে গিয়ে ওঁনার মোহভঙ্গ হয়েছে। নেত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্ন পূরণ করেন। একই সঙ্গে যেভাবে মানুষ তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন তাতে তৃতীয় বারের জন্য মা মাটি মানুষের সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা বলেও তিনি দাবি করেন।
দলবদলের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, প্রাক্তন সভাপতি, বর্তমানে দলের চেয়ারম্যান শুভাশীষ বটব্যাল, জেলা কো-অর্ডিনেটর সুব্রত দরিপা, মৃত্যুঞ্জয় মুর্ম্মু, গুরুপদ মেটে প্রমুখ।

