আমাদের ভারত, ১৬ আগস্ট: দ্যা বেঙ্গল ফাইলস- এর ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে উত্তপ্ত হলো পরিস্থিতি। ছবির ট্রেলার লঞ্চ করতে হোটেল বুক করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দাবি, অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেলার লঞ্চ করা যাবে না। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে তাদের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে ট্রেলার লঞ্চ হবে, সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যে বাধা দেওয়া হয় হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিচালক বিবেক অগ্নিহত্রি বলেন, মানুষের কন্ঠস্বর বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। হিন্দু গণহত্যার উপর তৈরি এটা সবথেকে সৎ ছবি। আমেরিকার ১২টি শহরে বাঙালিরা দেখেছে। শেষে জয় মা কালী, বন্দে ভারত স্লোগানে থিয়েটার কেঁপে উঠেছিল। কিন্তু এখানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে পরিচালক বলেন, তাকে বলা হয়েছে, কোনো এক শক্তির তরফে বাধা দেওয়া হয়েছে। এর আগে মাল্টিপ্লেক্সে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল। পরিচালক দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তা করা যায়নি। পরে পাঁচতারা হোটেলে প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এটাকে চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অনুষ্ঠান বন্ধ নিয়ে বিবেক আগ্নিহোত্রে আরো বলেন, আপনারা চোখের সামনে দেখেছেন অনুষ্ঠান চলতে চলতে কিভাবে এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি নিয়ে কথা বলেছি, তবু বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে।
সকাল থেকে বহু পুলিশ এখানে জড়ো হয়েছে। আমি তো চোর ডাকাত নই, ছবি বানাই। সত্যজিৎ রায়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি। এটা যদি একনায়কতন্ত্র না হয় তাহলে কী? এটা যদি ফ্যাসিজম না হয় তাহলে এটা কী? এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত নয় তো, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ছবির প্রযোজক তথা অভিনেত্রী ও বিবেকের স্ত্রী পল্লবী জোশী বলেন, এখানে কী হচ্ছে তা আপনারা দেখছেন। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় বিবেককে। সূত্রের খবর, তার ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পরিচালককে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশি ঘেরাটোপে বিবেক অগ্নিহোত্রী ও তার স্ত্রীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।