সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৪ জুন: একসময় শত্রু মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হতো সেনাবাহিনীকে, এখন সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এগারো বছর পূর্তিতে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা ও তার কর্তব্য সম্বন্ধে অবহিত করেন। যে সময় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তার পূর্বে কেন্দ্রে নানা ঘোটালা কেলেঙ্কারিতে জনগণ বীতশ্রদ্ধ। এরকম পরিস্থিতিতে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে তিনি বিকশিত ভারত ও স্বচ্ছ ভারতের কথা ঘোষণা করেন, যা তিনি আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য জিরো ব্যালেন্স ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প ও তার জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করেন।কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এখানে আয়ুষ্মান- এর পরিবর্তে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করেছে। এই কার্ডে ভিন রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গেলে কোনও সুবিধা মিলবে না। আয়ুষ্মান প্রকল্পে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০শতাংশ বহন করছে সেখানে সেই সুযোগ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগ নিলে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে রাজ্য যে টাকা খরচ করছে তা বেঁচে যেত, সেই টাকা রাজ্যের উন্নয়নে ব্যবহার করা যেত বলে ডাঃ সরকার মন্তব্য করেন।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া, বন্দে ভারত- এর প্রসঙ্গ তুলে ধরার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রশংসা ও সেনাবাহিনীর হাতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার উল্লেখ করে তিনি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসেবে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির ঘোষণা, পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক- এর ঘটনার উল্লেখ করেন।
এদিন সম্মেলনে বিজেপির জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েক জন বিজেপির কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন।