Sukanta, BJP, লক্ষ্য ভারতকে বিশ্বের এডুকেশন হাব তৈরি করা! প্রণব মুখার্জির পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ২য় বাঙালি সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২৯ অক্টোবর: মোদী সরকারের লক্ষ্য ভারতকে গোটা বিশ্বের এডুকেশন হাব তৈরি করা। আর সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের মুকুটে নতুন পালক যোগ হলো। তিনি দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে বড় কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পর তিনি দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি বিদেশের মাটিতে জি-২০ বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন।

জি-২০ দেশগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে। সেখানে আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার। এই সুযোগ করে যাওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীকে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, জি-২০ সদস্য দেশগুলির শিক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা নিঃসন্দেহে একটি বড় সুযোগ। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে এবং একই সঙ্গে শিক্ষাকে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক করার জন্য যেসব একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে সেগুলো বিশ্বের সামনে জি-২০ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথায়, প্রাপ্ত বয়স্কদের শিক্ষাদান থেকে শুরু করে কমিউনিটি এডুকেশন যেমন বিদ্যাশক্তি বা বিদ্বানঞ্জলির মতো উদ্যোগগুলিকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে বিষয়গুলি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের মতো শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার থেকে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হয়েছে সেইসব বিষয়গুলি সম্বন্ধে বাকি দেশগুলোকে জানানো হবে।

একই সঙ্গে বাকি দেশগুলিতে কী কী প্রকল্প চালু করেছে সেই সব বিষয়গুলি জানা যাবে এ সম্মেলনে। এছাড়াও সুকান্ত মজুমদার জানান, জি-২০ সম্মেলনে চার সদস্য দেশ ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন তিনি। সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারত কী কাজ করছে সেগুলি তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ওই দেশ গুলি কী কী পদক্ষেপ করছে তাও আলোচনা হবে। ভারতে নিজেদের ক্যাম্পাস খোলার জন্য অন্যান্য দেশগুলিকে আহ্বান জানানো হবে। এক কথায়, যাতে আগামী দিনে ভারত গোটা পৃথিবীর এডুকেশন হাব হয়ে উঠতে পারে তার চেষ্টা চলবে‌।

অন্যদিকে তিনি পরিষ্কার করে দেন, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী নিয়ে কিছু বলার নেই তার সেখানে, কারণ সেখানে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প নিয়েই কথা হবে। তাছাড়া কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে মহিলারা সুরক্ষিতই নয়, সেখানে কন্যাশ্রী দিয়ে কী হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *