সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১০ মার্চ: রাতেই বিয়ে। বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজনের ভিড়। বিয়ের জন্য বাড়িতে করা হয়েছে প্যান্ডেল। পাত্রীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পাত্রের বাড়ি বনগাঁয়।
কিন্তু দুপুর গড়াতেই বাড়িতে পৌঁছালো পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। পাত্রীর বয়স কত হয়েছে জানতে চাইলে পাত্রীর বাড়ির সদস্যরাই জানালো বয়স এখনও আঠারো ১৮ হয়নি। প্রশাসনিক কর্তারা বলেন, কেন বিবাহের আয়োজন? পরিবারের সদস্যরা জানালেন, না বুঝে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল তারা। কিশোরীর পরিবারের লোকজনদের সামনে বসিয়ে রূপশ্রী এবং কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে কর্মরত কর্মীরা ও প্রশাসনিক কর্তারা পরিবারের সদস্যদের বোঝাতে থাকেন। ১৮ বছরের নিচে কন্যাকে বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ। তাদের সব কথা শুনে নাবালিকার বাবা এবং মা মেয়ের ১৮ বছর না পূর্ণ হলে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেয়। বন্ধ হয় নাবালিকার বিয়ে।
এই বিষয়ে বাগদা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক তাপস বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সেই মতো পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ হালদার বলেন, গ্রামের মানুষ না বুঝে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল। পরবর্তীতে ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করেছে।