আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৬ অক্টোবর: মাল নদীতে ভাসানে এখনো পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত কুড়ি বছরের এরকম ঘটনার নজির নেই জানিয়ে দায় এড়াল প্রশাসন। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলার প্রত্যেক বিসর্জন ঘাটে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সুত্রে খবর। বড় ঘাটে নিরাপত্তার জন্য কাউকে জলে নামতে দেওয়া হবে না। জেসিবির সাহায্যে বিসর্জন চলবে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত।
গতকাল মাল নদীতে বিসর্জনের সময় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার। আজ পুলিশ লাইনে সাংবাদিক বৈঠক হয়। তিনি বলেন, জেলার সব ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পে-লোডার (জেসিবি) এর মাধ্যমে বড় ঘাটে বিসর্জন করা হবে। গতকাল মাল নদীতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে বিগত কুড়ি বছরের এরকম ঘটনা ঘটেনি। নদীতে জল বাড়বে আগাম সর্তকতা ছিল না।
সেখানে বিসর্জন হয়ে আসছে প্রতিবছর। গতকাল সেখানে বিসর্জন হয়। প্রায় এক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল ঘাটে। পর্যাপ্ত সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ উপস্থিত ছিল। হঠাৎ করে জল বেড়ে যায়, প্রায় ত্রিশ জন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। আটজনের এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে, সকলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছে এরকম কোনও অভিযোগ পরিবারের তরফে জানানো হয়নি। তবে এনডিআরএফ এর তল্লাশি চলছে ও জারি থাকবে।

পুলিশ সুপার জানান, জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে আগামীকালের কার্নিভাল করা হবে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। তবে প্রত্যেক ঘাটে বাড়তি নজরদারি ও পর্যাপ্ত উদ্ধারকারী দলের সদস্য থাকবেন।”
মাল নদীতে বালি দিয়ে বাধ দেওয়া হয়েছিল এমনটাই অভিযোগ উঠেছে, সেই বাঁধ ভাঙ্গার কারণে হরপা বান বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন,”নদীতে কিসের বাঁধ কোথায় দেওয়া ছিল সেই বিষয় তিনি জানেন না।”

