আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ১০ নভেম্বর: দল অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করেছে দলীয় কাউন্সিলরকে। কিন্তু রামপুরহাট থানার পুলিশ তাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করছে না। তাই ধর্ষণে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করলেন নির্যাতিতা মহিলা। তাঁর দাবি, রামপুরহাট শহরে ঘোরাঘুরি করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
উল্লেখ্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে কয়েক বছর ধরে সহবাস করা অভিযোগ ওঠে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউয়ের বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগ, তাদের মেলামেশার ফলে এক সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপর থেকেই অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিয়ে না করে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে ২৯ অক্টোবর রামপুরহাট থানায় এফ আই আর করেন ওই তরুণী। ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত প্রিয়নাথ সাউ। তাই সোমবার সরাসরি জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়ে এলেন তরুণী।
জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, “আমি অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্ত প্রিয়নাথ সাউ প্রভাবশালী কাউন্সিলর হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। অথচ রামপুরহাট শহরে সব সময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত। প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। হুমকির অভিযোগ থানায় লিখিত আকারে জমা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও অধরা কাউন্সিলর। পুলিশ আমাকে কোনরকম সহযোগিতা করছে না।”
এনিয়ে ডেপুটি স্পিকার, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করেছি। এখন পুলিশের কাজ। পুলিশ কী করবে সেটা আমরা বলতে পারব না।” তবে এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি পুলিশ সুপার আমনদীপ।

