ধন্যবাদ! তাঁর নম্বর ভাইরাল করতে গিয়ে অভিষেক নিজে মোদীজির প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন, দাবি সুকান্তর

আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: তাঁর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য এবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধন্যবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষ তাঁর মোবাইলের নম্বর জেনে যাওয়ায় সুবিধাই হয়েছে বিজেপির। কারণ প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারের সুবিধার জন্য কিছু নম্বর ব্যবহার করার কথা ছিল বিজেপির। এবার থেকে এই নম্বরগুলি সে কাজে ব্যবহার হবে। ফলে মোদীজির বিভিন্ন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন অভিষেক নিজেই।

সুকান্ত বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম কেন্দ্র সরকারের কথা মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার কিম্বা আমাদের কারোর ফোন নম্বর দেওয়া হবে। বিশ্বকর্মা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাপারে মানুষকে জানাতে হবে। কিন্তু আমাদের আগেই অভিষেক নিজে মোদিজীর প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার হয়ে গেলেন।”

সুকান্ত জানিয়ে দেন, আগামীদিনে এই নম্বরে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ব্যাপারে যে কোনো তথ্য জানতে চাইলে সাহায্য করা হবে। বরং তিনি বলেন,
“আমার নম্বর ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য অভিষেককে ধন্যবাদ।”

সুকান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে দাবি করেছেন, তাঁর নম্বর ভাইরাল হয়ে যাবার পরে অনেকেই তাকে ফোন করেছেন এবং সেখানে তাকে বলেছেন এক টাকাও যেন দেওয়া না হয় তৃণমূল সরকারকে। তাঁর দাবি, ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ডের টাকা কার হাতে গেল সেই জবাব নাকি তার কাছে সাধারণ মানুষ চাইছেন। তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন তারা বলে তাঁর দাবি।

একই সঙ্গে সুকান্ত দাবি করেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমার ব্যক্তিগত নাম্বার পাবলিক করেছেন তাতে ওনার রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাব বালখিল্লতা প্রকাশ পেয়েছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে উনি পিসিকে ধরে উঠেছেন বা প্যারাসুটে করে নেমেছেন। রাজনৈতিকভাবে ওঠা বা সংগঠনের কাজ করে ওঠার সুযোগ তার যেহেতু ঘটেনি স্বাভাবিকভাবে দয়ায় পাওয়া পদ মানুষ অপব্যবহার করে।”

তিনি বলেন, “আমিও ওনার ব্যক্তিগত নাম্বার ভাইরাল করতে পারতাম। বলতে পারতাম পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় গরু চোর, কয়লা চোরের নাম্বার থাকল, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আপনারা ফোন করে টাকা চান। সেটা আমি করিনি, কারণ আমি জানি ওনার বাড়িতে ওনার স্ত্রী আছে সন্তান আছে। কারো ব্যক্তিগত নম্বর ভাইরাল করে দিলে অসুবিধা হয়। ওনার শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে আমার শিক্ষা সংস্কৃতির পার্থক্য রয়েছে।

একই সঙ্গে বিজেপি নেতার দাবি, মানুষ পরিবারে গুরুজনদের কাছ থেকে ভালো কিছু শেখেন কিন্তু অভিষেক কি করবেন? উনি এমন পরিবারের সদস্য যেখানে সবাই ইডির ডাক পাচ্ছেন। যে ধরনের পরিবার সেই ধরনের শিক্ষাই তিনি পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *