আমাদের ভারত, ৯ নভেম্বর: গুজরাটে বড়সড় নাশকতার চক্রান্ত ভেস্ত দিল পুলিশ। রবিবার গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়ার্ড অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আমেদাবাদ থেকে। এক বছর ধরে এদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল গোয়েন্দারা। অস্ত্র সরবরাহের সময় এরা ধরা পড়ে। দেশের বিভিন্ন অংশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল এরা।
গুজরাটে এটিএস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। গত এক বছর ধরে নজরে ছিল এই অভিযুক্তরা। অস্ত্র সরবরাহের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা। ধৃতদের লক্ষ্য ছিল দেশজুড়ে একাধিক হামলা চালানো হবে। জানাগেছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তৃতীয় জন অন্ধ্রপ্রদেশের। এখনো পর্যন্ত তল্লাশি চলছে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে নতুন একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে সতর্কতা বার্তা জারি করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। সেখানেও জঙ্গি কার্যকলাপ আবারও শুরু হয়েছে বলে অনুমান। লস্কর- ই- তৈবা এবং জৈশ- ই- মহাম্মদ এক সমন্বিত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতে। পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বিশেষ বাহিনী এসএসজি’র সক্রিয় সমর্থনে এই হামলার চেষ্টা চলছে।
মাস ছয়েক আগে ভারতীয় বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, কিন্তু নয়া রিপোর্ট বলছে সীমান্তের ওপারে আবারো সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী।
সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের তৎপরতা বেড়েছে। এই ড্রোন গুলির মাধ্যমে পাহাড়ি অঞ্চলের উপর নজরদারি চলছে। যেখানে আত্মঘাতী হামলা সম্ভব বা অস্ত্রবাহী ড্রোন হামলা সম্ভব সেইসব পরিকল্পনাকরা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। শামসের নামে লস্করের এক কুখ্যাত জঙ্গি এই ড্রোন অপারেশনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম। এই দলে প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডো প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা রয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা সূত্র বলছে, তাদের এই পুনর্বিন্যাসের অর্থ সীমান্তে হঠাৎ হামলা এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা বৃদ্ধি হতে পারে।
সব মিলিয়ে গুজরাট থেকে কাশ্মীর দু’ প্রান্তে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে জঙ্গি নেটওয়ার্ক। যদিও গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিপদের ইঙ্গিত থাকলেও তা প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে ভারতীয় সেনা।

