Pakistan, Pehalgaon, পাকিস্তানের সেনা ও রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশেই জঙ্গি হামলা পেহেলগাঁওতে, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সেনার নির্দেশে জঙ্গি হামলা চালানো হয় পেহেলগাঁওতে। ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সেই হত্যাকাণ্ডে এবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশে এলো। যদিও ওই তথ্যের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই ও লস্কর ই তৈবা। আর এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সেনার তরফে।

কেবল তাই নয়, একেবারে নিখুঁত ছকে এই জঙ্গি হামলা চালাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পাক জঙ্গিদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, আইএসআই- এর তরফে লস্কর কমান্ডার সাজিদ জাটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে যাতে শুধুমাত্র বিদেশি জঙ্গিদের নিযুক্ত করা হয়। এই হামলার গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোনো কাশ্মীরি জঙ্গিকে এই দলে যুক্ত করা হয়নি।

২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার পাক জঙ্গি দলটির নেতৃত্বে ছিল সুলেমান। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ব্যক্তি পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের প্রাক্তন কমান্ডো। ২০২২ সালে জম্মুতে অনুপ্রবেশের আগে এই জঙ্গি লস্করের ঘাঁটি মুরিদকেটে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। স্যাটেলাইট ফোনের লোকেশন অনুযায়ী হামলার আগে ১৫ এপ্রিল এই সুলেমান ছিল কাশ্মীরের ত্রালে। তদন্তকারীদের অনুমান হামলার এক সপ্তাহ আগে পেহেলগাঁওয়ের বৈশরণ উপত্যকায় ছিল এই জঙ্গি।

২২ এপ্রিল পেহেলগাঁও- এ বেছে বেছে নিরস্ত্র হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল লস্কর সংগঠনের সাথী সংগঠন টিআরএফ- এর চার জঙ্গি। যার জবাবে ৭মে ভোররাতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকায় এবং সেনা ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাকিস্তানের ১১টি বায়ু সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি সহ ৩৫ থেকে ৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষ বিরোধীতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *