আতঙ্ক যখন করোনা ভাইরাস

ডাঃ প্রশান্ত কুমার ঝরিয়াৎ
আমাদের ভারত, ৭ ফেব্রুয়ারি: বর্তমানে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে প্রায় সমগ্র বিশ্ব আতঙ্কিত। চীনের উহান প্রদেশ থেকে এই রোগ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র বিশ্বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্রিশটি দেশকে এই ভাইরাসের কবলে পড়তে পারে বলে সাবধান করেছে, তাদের মধ্যে ভারত অন্যতম।
ল্যাটিন শব্দ করোনা কথার মানে হল মুকুট। এই ভাইরাসটিকে দেখতে অনেকটা মুকুটের মতন বলে এই রকম নামকরন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের অনেক গুলি type আছে,সে গুলি হল-

Human coronavirus 229E (HCoV-229E)

Human coronavirus OC43 (HCoV-OC43)

SARS-CoV

Human coronavirus NL63 (HCoV-NL63, New Haven coronavirus)

Human coronavirus HKU1

Middle East respiratory syndrome coronavirus (MERS-CoV),

Novel coronavirus (2019-nCoV),
এদের মধ্যে সর্বশেষ অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণই বর্তমানে ঘটেছে।

সাধারণত বাদুড়, গবাদি পশু থেকে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে। তাই যারা পশুপাখি পোষেন, আদর করেন তারা সব সময় ভালো করে হাত পরিষ্কার করবেন।
এই রোগের তেমন কোনও প্রতিষেধক নেই। যারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন তারা মাস্ক ব্যবহার করবেন।
বাচ্চার জ্বর হলে স্কুলে না পাঠানই ভালো। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও বাচ্চার জ্বর হলে তাদের অভিভাবকদের বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসতে বারন করতে হবে। এই রোগটি ছোঁয়াচে, হাঁচি, কাশি ব্যবহৃত রুমাল ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।
এই রোগটির লক্ষণ অনেকটা সাধারন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন। সর্দি, জ্বর, গলাব্যাথা নিয়ে শুরু হতে পারে। কিন্তু জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকে, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি বিকল হতে শুরু করে।

তবে এই রোগ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে আমরা যদি সাধারণ সাস্থবিধিগুলি মেনে চলতে পারি তাহলে এই রোগকে অনেকখানি দুরে সরিয়ে রাখা যায়।

হোমিওপ্যাথি রোগের উপসর্গ বা লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা। রোগের লক্ষণ দেখে ওষুধ নির্ণয় করাই এই চিকিৎসার মূল ভিত্তি। যদিও এই রোগের সুনির্দিষ্ট ভাবে সেই রকম কোনও চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি তবুও এই রোগের লক্ষণ বিচার করে কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ আছে যেগুলি প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে। আবার বলি এগুলি পরীক্ষিত নয়, অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে লেখা। জ্বর হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনা করবেন।

প্রথমেই বলি ইচিনেশিয়া ঔষধটির কথা, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর জুড়ি মেলা ভার। ইচিনেশিয়ার আরক প্রত্যহ পাঁচ ফোঁটা করে হাফ কাপ জলে দিনে দুবার করে খেতে হবে।

আর্সেনিকাম এলবাম ৬ অথবা ৩০ দিনে দুবার খেলে ভাইরাল ফিভারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সাস্থ্য সংস্থা আর্সেনিক এলবাম ৩০ ঔষধটিকে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এছাড়াও একোনাইট, বেলেডোনা ও রাসটক্স ঔষধগুলিও ৩০ পোটেন্শিতে দিনে দুবার করে খেলেও ভাইরাস ফিভার জনিত সমস্যা থেকে খানিকটা দুরে থাকা যায়।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ ইনফ্লুয়েঞ্জিয়াম-২০০দিনে দুবার করে কিছু দিন প্রয়োগ করলে ভালো প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
আগেও বলেছি আবার বলছি জ্বর হলে অবহেলা না করে ডাক্তারবাবুর কাছে যান, তিনি আপনাকে সঠিক দিশা দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *