আশিস মণ্ডল, বীরভূম, ৩ জুলাই: মাঠের মধ্যে সাবমার্সিবল ঘরে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল ছাউনি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ছাউনির টিন একশো মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইলামবাজার থানার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুনমুনি গ্রামে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রোকেয়া বিবির স্বামী শেখ জালালউদ্দিন ওই সাবমার্সিবল ঘরটির মালিক। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে ওই সাবমার্সিবল করা হয় সেচের জলের জন্য। গ্রামবাসীদের দাবি, সাবমার্সিবলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। ভোর রাতের দিকে বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। সেখানে গিয়ে দেখেন আগুন জ্বলছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিস্ফোরণের নমুনা। খবর পেয়ে সেখানে যান ইলামবাজার থানার পুলিশ।
রোকেয়া বিবি বলেন, “ওই সাবমার্সিবল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। ফলে কারা বোমা রেখেছিল, কিভাবে বিস্ফোরণ হল বলতে পারব না”। যদিও বিরোধীদের দাবি, এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই সেখানে বোমা মজুত করা হয়েছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক যে মজুত ছিল তা বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ওই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুও হয়েছে। মূলত এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করেছিল।
বিজেপির ইলামবাজার ব্লক সভাপতি চিত্তরঞ্জন সিংহ বলেন, “তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে বোমা মজুত করেছিল। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি”।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজলুল রহমান বলেন, “দল বিরোধী কাজের জন্য ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে আমরা বহিষ্কার করেছি। তাবে বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটল বলতে পারব না। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছি”।