প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মধ্যমগ্রামে

আমাদের ভারত, বারাসাত, ২২ ডিসেম্বর: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হলো এক বিজেপি কর্মীকে। নিহতের নাম অশোক সর্দার। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকায়।নিহত এই বিজেপি কর্মী পেশায় একজন প্রোমোটার ছিলেন। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার রোহান্ডায় প্রোমোটিং ব্যবসায়ী অশোক সর্দারকে (৫০) গুলি করে খুন করতেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। খুন হওয়া প্রোমোটিং ব্যবসায়ীর পরিবারের লোক ও তাঁর ছেলের দাবি তাঁরা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। মৃতদেহর ময়নাতদন্ত ঘিরেও জটিলতা, তা নিয়ে উত্তাল বারাসাত হাসপাতাল। নিহতের পরিবার এবং বিজেপির অভিযোগ, শাসক দল ও প্রশাসনের চক্রান্তে খুন হয়েছেন অশোক সর্দার। তাদের দাবি দুই দিন আগেই নিহত অশোকবাবুর বাড়িতে বিজেপির কর্মীরা আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মিটিংও করেছিলেন আর এই কারনেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে।

নিহত অশোক সর্দারের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার নারায়ণপুরে। নিহতের পুত্র লাল্টু সর্দার যুব মোর্চার জেলা স্তরের নেতা। লাল্টু সর্দার দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁর বাবা অশোক সর্দারকে। এদিন সকালে ফোন করে রহিন্ডাতে একটি প্রোমটিং সাইটে ডাকা হয় তাঁর বাবাকে।অশোকবাবু সেই মত ওখানে পৌঁছালে দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে।

গুলিবিদ্ধ অশোকবাবুকে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে পরিবারের লোককে জানায়। এর পর ময়না তদন্তের জন্য তড়িঘড়ি বারাসাত হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হলে ফের শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি ও নিহতের পরিবারের দাবি, মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বারাসাত হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। চার ঘন্টার আগেই দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেলেও মৃতদেহ নথিভুক্ত না হওয়ায় শুরু হয় টানাপোড়েন। বিজেপি ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও আশংকা যে অশোক সর্দারকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে শাসকদল দ্ৰুত তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসকদের একাংশের সহযোগিতায়। এর ফলে বিজেপি ও মৃতের পরিবারের ক্ষোভ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বারাসাত হাসপাতাল।

এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল কোনও ভাবেই এই হত্যা কাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়, এই হত্যা কান্ডটি জমিজমা সংক্রান্ত কারনে হয়ে থাকতে পারে, কারন মৃত ব্যক্তি একজন প্রোমোটার ছিলেন। তাই জমিজমা সংক্রান্ত রেষারেষিতেই এই খুন হয়েছে।তৃণমূলের এতটা দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির সাধারন এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলতে হবে। তৃণমূল খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *