যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ব্যারাকপুরে, মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৬ জুন: এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ব্যারাকপুরের সারদা পল্লী এলাকায়। স্ত্রীর সাথে অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।

গত জানুয়ারি মাসে প্রিয়াঙ্কা সিংহের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় মৃত সুমিত শর্মার। ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বছর ২২ এর সুমিত। বিয়ের পর থেকে সুমিত তার স্ত্রীকে নিয়ে ব্যারাকপুরে বারাসাত রোড সংলগ্ন সারদা পল্লীতে ভাড়া থাকতো। বিকেলে অবকাশ অবসানের অন্যান্য বাসিন্দাদের মৃতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা তাদের ফ্ল্যাটের দরজা তার স্বামী খুলছে না বলে সাহায্য চান। তখন অন্যান্য অবাসিকরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে গিয়ে সুমিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর মোহনপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

এই ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তারা এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং মৃতের স্ত্রীকে এই ঘটনার জন্য দোষারোপ করতে থাকেন। এই নিয়ে মৃতের স্ত্রী ২৮ বছরের প্রিয়াঙ্কার চতুর্থ বিয়ে বলে দাবি ছেলের পরিবারের। তাদের আরো অভিযোগ, এই প্রিয়াঙ্কা বিয়ের পর তাদের ছেলেকে হঠাৎ করে তাদের বিল পাড়া বাড়ি থেকে বের করে সারদা পল্লীতে ভাড়া নিয়ে চলে আসে। আর আদের পুত্রবধূ তাদের ছেলের এই মৃত্যু জন্য দায়ী।

তবে অপর দিকে পুত্রবধূর দাবি, সে পরীক্ষা দিতে দমদম গেছিল আর ফিরে এসে দেখে যে বাড়ির সামনে লোকজন রয়েছে। তার স্বামীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা কেনো হল কিভাবে হলো সে জানে না বলেই দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, আমি পরীক্ষা দিতে গেয়েছিলাম। আমার সাথে ওর কোনো অশান্তি
হয়নি। আমাকে নিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ও আমাকে নিতে না যাওয়ায় আমি এসে দেখি দরজা বন্ধ। আশপাশে লোকেরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকলে দেখি আমার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ এর তদন্ত করুক। আমি এর সাথে জড়িত নই।”

মৃতের পরিবারের বক্তব্য, “আমাদের ছেলেকে বিয়ের পর এখানে আলাদা করে নিয়ে এসেছিল। আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে দিতে চাইত না আমাদের বৌমা। ওর আগে আরো বিয়ে আছে। আগে একটা বাচ্চাও আছে। ওই আমাদের ছেলেকে মেরে ফেলার পিছনে আছে। ওর শাস্তি দাবি করছি।”

এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *