আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ সেপ্টেম্বর: এক প্রৌঢ় জুটমিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থানার অন্তর্গত শুঁটকি গলি এলাকায়। মৃতের নাম দুর্গালাল সাউ (৫৮)। তাঁকে ধারালো অস্ত্র বা কাঁচের ভাঙ্গা বোতল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।
পেশায় জুটমিল কর্মী দুর্গালালবাবু নৈহাটি থানার অন্তর্গত শুঁটকি গলি এলাকায় জনৈক নির্মলা গোস্বামীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন। সোমবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে ওই প্রৌঢ় জুটমিল শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহত ব্যাক্তি সম্প্রতি ওই ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা লকডাউনে দেশের বাড়ি পুনেতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। এদিন সকালে দুর্গালালবাবুর এক বন্ধু তাঁকে ডাকতে আসলে দীর্ঘক্ষণ তাঁর সাড়াশব্দ শুনতে পান না তিনি। এরপর বাড়ির মালিক নির্মলা গোস্বামী ছুটে আসেন। তারা দরজার সামনে গিয়ে দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে খোলা আছে।
দরজার সামনে গিয়ে সকলে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দুর্গা লালবাবু। তার পেট চেরা, গলায় গভীর ক্ষত ও হাতের শিরা কাটা অবস্থায় ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন, ওই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করল তা বুঝে উঠতে পারছে না এলাকাবাসী। মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
নৈহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাড়ির মালিক নির্মলা গোস্বামী বলেন, “লকডাউনে উনার পরিবার দেশের বাড়িতে আটকে যাওয়ায় উনি এখানে একাই থাকতেন। মাঝে মাঝে নেশা করতেন। তবে শত্রুতা কারুর সঙ্গে ছিল না। রবিবার সন্ধ্যায় ও উনাকে ঘরে কাজ করতে দেখেছি। কিন্তু কিভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে আসল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে বলে আশা করছি।”
এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অনেকেরই ধারনা ওই বৃদ্ধকে ঘরে একা পেয়ে দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করে পালিয়েছে। শত্রুতা বশত বৃদ্ধের ঘনিষ্ট কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। নৈহাটি থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।