সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১০ মার্চ: ডিএ’র দাবিতে ডাকা সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। জেলা আদালত, প্রশাসন ভবন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ফাঁকা। অফিসের বাইরে কর্মী ও ধর্মঘট সমর্থকদের জটলা। স্কুলগুলিতেও ভালো সাড়া পড়ে। অধিকাংশ স্কুলেই হাজিরা নেই, কোথাও আবার স্কুলই খোলেনি।
এদিকে ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার ডিআই অফিসের সামনে। ডিএ’র দাবিতে বেশ কিছু শিক্ষক ডিআই অফিসে’র সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন। সেই সময় তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি তথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা আহ্বায়ক গৌতম দাস অফিসে ঢুকতে গেলে বাধা পান। তিনি জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, গেট আটকে বিক্ষোভ ঠিক নয়, সেই সময় তার উদ্দেশ্য নানা কটুক্তি উড়ে আসে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। পুলিশ বিক্ষোভ কারিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, পুলিশের সাথে বাদানুবাদ শুরু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করে। এর পরই একদল ব্যক্তি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যৌথ সংগ্ৰামী মঞ্চের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, সদ্য সমাপ্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা বন্টনের বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ সকালে ডিআই অফিসে যাই, অফিসে ঢুকতে গেলে গেটে আমাকে আটকে রেখে আমার উদ্দেশ্যে কয়লা চোর, বালি চোর ইত্যাদি কটুক্তি করা হয়। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে কিন্তু তাই বলে গেট বন্ধ করে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না, এটা ঠিক নয়, আমি এই কথা বলতে গেলে ঝামেলা করে। এছাড়া জেলা কৃষি দপ্তরের সামনে ধর্মঘটের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে গেলে একদল দুষ্কৃতিকারী তাদের বিরোধিতা করে বলে যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, দু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ধর্মঘটে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।