আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৯ সেপ্টেম্বর: নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃত্যু হল একদিনের শিশু কন্যার। বোতলে করে দুগ্ধ পান করাতে গিয়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা বলে অভিযোগ শিশু কন্যার পরিবারের লোকেদের। শনিবার সন্ধেয় এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরে। ভাঙ্গচুরও করা হয়েছে ওই বেসরকারি নার্সিং হোম বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার পরেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা।
জানা যায়, গঙ্গারামপুরের ঠেঙাপাড়ার বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা শম্পা রায় শুক্রবার চিকিৎসক সন্দীপ লাহিড়ীর পরামর্শে ভর্তি হন জীবন জ্যোতি নার্সিং হোমে। যেখানে ঐদিন রাতেই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শম্পা। যারপর থেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল শিশু কন্যাটি বলে দাবি শিশুকন্যার পরিবারের লোকেদের। এদিন সকালে শিশুটির খাবারের জন্য বাইরে থেকে দুধ কিনে খাবারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক বলে অভিযোগ। এরপরেই নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকা প্যাকেটজাত দুধ একটি বোতলে করে শিশুটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই দুধ খাওয়ার সময়েই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতেই তড়িঘড়ি অসুস্থ শিশু কন্যাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকেও অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। যেখানে নিয়ে যাবার পথেই মৃত্যু হয়েছে শিশু কন্যাটির। ঘটনাকে ঘিরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পরিবারের লোকেরা। চলে নার্সিংহোম ভাঙ্গচুর। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে জীবন জ্যোতি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা। যে অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
বেলি সাহা ও পাপন ভৌমিক নামে মৃত শিশু কন্যার দুই আত্মীয় বলেন, বড় বোতলে দুধ খাওয়ানোর সময় শ্বাসনালিতে আটকে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের শিশু কন্যার। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
যদিও নূর মহম্মদ নামে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল শিশুটি। যে কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।