আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৭ জানুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে মধ্যরাতে তৃণমূল কার্যালয়ে বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির ৬ নম্বর বিজয়নগর এলাকায়। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, মধ্যরাতে ২:৫২টায় একটি মোটর বাইকে ৩ জন দুষ্কৃতী এসে বাইক দাঁড় করিয়ে সেই বাইক থেকে একজন নেমে নৈহাটিতে তৃণমূলের প্রধান কার্যালয়ে পর পর ২টি বোমা ছোঁড়ে। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিজয় নগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নৈহাটি থানার পুলিশ।
নৈহাটি পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা নৈহাটি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা সনৎদের বাড়ির পাশেই তৃণমূলের ওই দলীয় কার্যালয়। তিনি ওই কার্যালয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিলেন। তার পর এই ঘটনা ঘটে। সনৎ দে বলেন, “বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে জয় শ্রীরাম ধ্বনী দিতে দিতে চলে যায়। অর্জুন সিংয়ের গুণ্ডাবাহিনীর কার্যকলাপ এইসব। ওরা ভোটের আগে এসব করে আমাদের ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিতে চাইছে। এতে কিছু লাভ হবে না। যদি সাহস থাকে রাত ১২টার আগে আসুক, এই দলীয় কার্যালয়ে আমি থাকি। এসব কাপুরুষের মত কাজ। পুলিশকে জানিয়েছি। সিসিটিভির ফুটেজ আছে, পুলিশ তদন্ত করছে।”
এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। নৈহাটির বিজেপি নেত্রী রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “সনৎ দের বাড়ি বা উনার পার্টি অফিসে হামলা বা বোমাবাজি বারবার কেন হয়? আসলে এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। প্রশাসন তো ওদের, নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সত্যি ঘটনা বেরিয়ে আসবে । সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখুক, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে । নিজেদের দ্বন্দ বিজেপির ঘাড়ে চাপাচ্ছে । বিজেপি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় ।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ ।