আমাদের ভারত, ৩০ আগস্ট: দেশের একাধিক বিমানবন্দরের মানোন্নয়ন সহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগেই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের রেল স্টেশনগুলিকেও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে বেসরকারি সংস্থার কাছে টেন্ডার আহ্বান করা শুরু করলো রেল। নয়াদিল্লি রেল স্টেশনকে কমার্শিয়াল, রিটেল ও হসপিটালিটি হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখা হবে। আর সেই জন্যেই বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার জমা দিতে বলা হয়েছে। রবিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইট করে একথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে দিল্লির রেলস্টেশন কেমন হবে তারও একটি ছবি তুলে ধরেছেন তিনি।
Railways invites bids to redevelop New Delhi Railway Station into an integrated commercial, retail & hospitality hub, complete with state-of-the-art amenities for passengers 🚉https://t.co/KCcm9YrwzM pic.twitter.com/iWuZC7t5Zs
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) August 30, 2020
ভারতের সবচেয়ে বড় ও দ্বিতীয় ব্যস্ত রেল স্টেশন হল নয়াদিল্লি। রোজ প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ এই রেলস্টেশন দিয়ে চলাচল করেন। প্রতিদিন স্টেশনে প্রায় ৪০০টি ট্রেনের যাতায়াত। আর সেই কারণেই এই নয়াদিল্লি স্টেশনকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে আরএলবিএ।
আর সেই জন্যেই বেসরকারি সংস্থার কাছে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। অনলাইনে এই টেন্ডার জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী দিনে এই স্টেশনের ভোল পাল্টে ফেলতে ও উন্নত পরিকাঠামো নিয়ে আসতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিশ্বমানের স্টেশন তৈরি করতে খরচ হতে পারে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা আর সময় লাগবে চার বছর।
দিল্লি শুধু ভারতের রাজধানী নয়, দেশের অর্থনীতি রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডের প্রধান ক্ষেত্র। এই শহরে স্থাপত্য শিল্পের নানা উল্লেখযোগ্য নিদর্শন রয়েছে। তাই ইতিহাসের সঙ্গে একবিংশ শতকের একটি মেলবন্ধন করা হবে প্রস্তাবিত এই নতুন স্টেশনে। সুবিধা থাকার জন্যই যাত্রীরা আরো বেশি করে এই স্টেশনে আসবেন। এর ফলে দিল্লি সহ আশপাশের এলাকার পর্যটন আরো উন্নত হবে বলে মনে করছেন আর এল বি এ র ভায়েস চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ দুদেজা।
জানা গেছে, প্রথমে হবে স্টেশনের উন্নতি। তারপরে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার উন্নতি হবে। রেলের দফতর ও কোয়াটারও নতুন করে করা হবে। যারা ট্রেন ধরতে আসবেন যারা ট্রেন থেকে নামবে উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা বন্দোবস্ত করা। লাউঞ্জের জায়গায় একাধিক ঢোকাও বেরোনোর রাস্তা, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। ৩০০ একর জমির ওপর এই নতুন প্রজেক্ট হওয়ার কথা।একইসঙ্গে স্টেশনের কাছে পাঁচতারা হোটেল, কম দামি হোটেল থেকে শুরু করে দোকানপাট অফিস শুরু করার পরিকল্পনা হয়েছে। জানা গেছে শুধু দিল্লি নয় দেশের ৬২টি স্টেশনের উন্নতিতে কাজ হবে এই পিপিপি মডেল।

