কর্ণাটকের পর তেলেঙ্গানা! ক্ষমতায় এসেই মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা অমিত শাহের

আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: আর দিন পনেরো পরেই কর্ণাটকে ভোট। তবু কর্ণাটকের সঙ্গে সঙ্গে তেলেঙ্গানাকে একচুলও হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। তাই হায়দ্রাবাদের কাছেই একটি জনসভা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তেলেঙ্গানায় বিজেপি সরকার গড়া মাত্রই রাজ্যের চাকরি ও শিক্ষায় মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দেবে তারা।

ভোটের মুখে কর্নাটকেও নির্বাচনের দিন ঘোষণার কিছুদিন আগেই, এই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বিজেপি সরকার। মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ চার শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দিয়ে তা হিন্দুদের দুটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিঙ্গাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। মনে করা হচ্ছে বিধানসভা ভোটে এই সিদ্ধান্তই তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে চলেছে।

যদিও কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আর্জি নিয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জমিয়েত উলেমা এই হিন্দ নামে দুটি সংগঠন দিল্লিতে শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সংগঠন দুটি দাবি শুনে তাদের বলেছিলেন এটা রাজ্য সরকার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত।

কিন্তু তেলেঙ্গানায় দেখা গেল অমিত শাহ নিজেই মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। ধর্মের ভিত্তিতে চাকরি, শিক্ষায় সংরক্ষণ চালু করা না গেলেও, একাধিক রাজ্যে ওবিসি তালিকায় বিভিন্ন পেশার মানুষের স্থান হয়েছে, যাদের সিংহভাগ মুসলিম। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সেই সুবিধা বাতিল করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি।

এবিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েসিও। তাঁর অভিযোগ, শাহের দল সমাজকে ভাঙতে শিখেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে একটা কথাও নেই।

কিন্তু ওয়েসির এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেছেন, “আমরা মজলিসবাদীদের ভয় পাই না।” তাঁর আরও দাবি, “তেলেঙ্গানায় এমন কোনো সরকার আমরা তৈরি হতে দেব না যার স্টিয়ারিং ওয়েসির হাতে থাকবে।

যদিও কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, এটি ওয়েসির সঙ্গে মোদী শাহের পুরনো বোঝাপড়ার খেলা। এরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেই তেলেঙ্গানায় মেরুকরণে রাজনীতি জোরদার করতে চাইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *