আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ১৯ ডিসেম্বর:
মিষ্টি কুমড়ার আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল ৫০লাখ টাকার বার্মা টিক(সেগুন কাঠ)। ছক বানচাল করলেন বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। এই নিয়ে গত ৬ মাসে প্রায় ২২ কোটি টাকার বার্মা টিক উদ্ধার করলো বৈকন্ঠপুর বন বিভাগ।
বেলাকোবা রেঞ্জ অফিস সুত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ৩১নং জাতীয় সড়ক ধরে প্রচুর পরিমাণে বার্মা টিক (সেগুন কাঠ) পাচার করা হবে।খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি এলাকার রানী নগর এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করেন তাঁরা। সারারাত তল্লাশির পর সোমবার ভোর নাগাদ শিলিগুড়ি– জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের রানীনগর এলাকায় নির্দিষ্ট নম্বরের ১৪ চাকার লরিটি আসলে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তারা। কিন্তু প্রথমে তারা লরিতে মিষ্টি কুমড়ো দেখে হতাশ হয়ে পড়েন।

পরে কয়েকটি পিকাপ ভ্যানে কুমড়ো নামাবার পর তারা দেখেন নিচে থরে থরে সাজানো আছে বার্মা টিক। এই ঘটনায় লরিতে থাকা দুজনকে গ্রেফতার করেন তিনি। ধৃতদের নাম শেখ কলিম ও মহম্মদ নইম। এরা দুজনেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁদের আগামীকাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

বৈকন্ঠপুর বন বিভাগ সুত্রে আরও জানা গেছে, গত ছয় মাসে প্রায় ২২কোটি টাকার বার্মা টিক উদ্ধার হয়েছে এবং ৫১টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক পাচারকারী। এই বিপুল পরিমাণ কাঠ কীভাবে আসাম সহ উত্তরপূর্ব ভারত থেকে জলপাইগুড়ি জেলা অবধি এসে পৌছাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

