সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন দেখে রক্ত দিলেন শিক্ষক ও শিল্পী

আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রক্তের সঙ্কটকালে ফেসবুক পোস্টে সাড়া দিয়ে রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন শিক্ষক মিলন আঢ্য ও বাচিক শিল্পী চিত্তরঞ্জন দাস। চন্দ্রকোনা টাউনের পাশে দাঁড়ালো মেদিনীপুর শহর। বুধবার সকালে চিকিৎসক ডাঃ এস সিনহা রায় সূত্রে চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়ার কাছে খবর আসে পাথরঘাটায় অবস্থিত গ্লোকাল হাসপাতালে কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন চন্দ্রকোনা টাউনের মেটালা গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের যুবক সুশান্ত পালের ডায়ালিসিসের প্রয়োজনে দু-ইউনিট এ পজিটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন। ওর ভাই সৌমেন পাল দুদিন ধরে হন্যে হয়ে রক্ত খুঁজছেন। একদিন আগেই সুদীপ বাবুর করা এ পজিটিভ রক্তের চাহিদা সংক্রান্ত ফেসবুক পোষ্টে সাড়া দিয়ে রক্তদানে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুরের কর্ণেলগোলার বাসিন্দা শিক্ষক মিলন আঢ্য এবং নজরগঞ্জের বাসিন্দা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও কাব্য ও কলার অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দাস। তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন সুদীপ বাবু। তৎক্ষণাৎ দুজনেই রাজি হয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে এসে রক্তদান করে যান।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে এসএফআই নেতৃত্ব প্রসেনজিৎ মুদি সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গড়বেতার বাসিন্দা এবং মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন অলোকানন্দা রায়ের এ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজনে ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। সেই পোষ্ট দেখে এগিয়ে এসে রক্তদান করেন মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ার বাসিন্দা পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় অধ্যাপক অতনু ব্যানার্জি। এক্ষেত্রে গড়বেতার পাশে দাঁড়াল মেদিনীপুর শহর। সমস্ত রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোগীর পরিজনেরা, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তদাতাদের স্যালুট জানিয়েছেন নেটিজনেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *