সালিশি সভায় শিক্ষককে মারধর, ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা

কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন: প্রেম করার খেসারত হিসাবে গ্রামের সালিশি সভায় ঠিক হয় শিক্ষককে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা। রাখা যাবে না সম্পর্ক। ভিডিও চালিয়ে শিক্ষকের দাদার মুখ থেকেও টাকা দেওয়ার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষককে ব্যাপক মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে। মোটা দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ঐ শিক্ষককে চলে ব্যাপক মারধর। মারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন অনেকে। প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় ওই জায়গায়। কিন্তু, কেউ ওই শিক্ষককে বাঁচাতে আসেনি।

এদিকে মারধরের ঘটনা ইতিমধ্যেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে ঘোরাঘুরি করছে বহু মানুষের ফোনে। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে, কেশপুর থানার নেড়াদেউলের এক স্কুল শিক্ষকের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে ওই শিক্ষক বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এলে শিক্ষককে প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা পাকড়াও করে। আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন তাঁদের এলাকার মেয়ের সঙ্গে প্রেম করবে? এই প্রশ্ন তুলে শুরু হয় মারধর। বসে সালিশি সভাও।

জানা গিয়েছে, সালিশি সভায় ঠিক হয় শিক্ষককে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা। রাখা যাবে না সম্পর্ক। এমনকী ভিডিয়ো চালিয়ে শিক্ষকের দাদার মুখ থেকেও টাকা দেওয়ার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়। গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন ওই শিক্ষক। তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *