দুর্গাপুরে করোনা যোদ্ধাদের প্রতিদিন চা-বিস্কুট খাইয়ে সাময়িক স্বস্তি দানের চেষ্টা বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদের

শ্রীরূপা চক্রবর্তী,আমাদের ভারত, দুর্গাপুর,৩০ মে : শুধু স্বাস্থ্য কর্মীরাই নয় করোনা যোদ্ধা ওরাও। যারা প্রতিদিন আপনার আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করছে হ্যাঁ সেই সাফাই কর্মীরা। যে সিভিক ভলেন্টিয়ার পুলিশ কর্মী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন এই অতি মহামারীর সময় তারাও করোনা যোদ্ধা। তাই লকডাউনের এই কঠিন সময়ে তাদের ক্ষনিকের স্বত্বি দিতে নিজেদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সেবাভারতী অনুমোদিত বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদ। গত এক মাস যাবৎ  দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী, আধা সামরিক বাহিনী , সাফাইকর্মীদের হাতে চা ও বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দিয়েছেন তারা।

করোনার আতঙ্কে মানুষ যখন ঘরবন্দি তখন জনগনের স্বার্থে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে পুলিশ কর্মীরা। তাই তাদের কথা ভেবে প্রতিদিন সকাল ৯:৩০টায় দুর্গাপুর থানা , প্রান্তিকা ফাঁড়ি , বেনাচিতি , ভিড়িঙ্গি মোড়, কোর্ট মোড় , কোকোভেন থানা , দুর্গাপুর ব্যারেজ , এস বি মোড় , দুর্গাপুর বাজারের মত জায়গায় তাদের হাতে চায়ের কাপ আর বিস্কুট তুলে দিয়েছে বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদের কর্মীরা

এই সময় ব্যাংক, রেশন দোকানেও গুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তথা বিশাল ভিড় সামলাতে সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা হয় । ভিড় সামলাতে গিয়ে  নাজেহাল হয়ে যাওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাতে চায়ের কাপ তুলে দিয়ে সাময়িক স্বস্তি দানের কাজ গত একমাস ধরে করে চলেছেন বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদ।

এছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফায় কর্মী ও পথ ভিক্ষুকদের জন্যও একই ব্যবস্থা করা হয় পরিষদের উদ্যোগে । 

বিবেকানন্দ বিকাশ পরিষদের সম্পাদক জানান, “রোজ প্রায় ১৫০-২০০ জন পুলিশকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, সাফাইকর্মীদের চা বিস্কুটের প্যাকেট দিয়েছেন তারা।  প্রায় ৩০ জন স্বয়ংসেবকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক , হ্যান্ড গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে এই কাজ করেছেন। পুলিশকর্মীদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করে তবেই তুলে দেওয়া হচ্ছে বিস্কুটের প্যাকেট ও চা । তিনি বলেন, ক্ষনিকের এই স্বস্তি পেয়ে খুশি পুলিশ প্রশাসন ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *