সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ১২ নভেম্বর: প্রায় ১১ ঘন্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর অবশেষে বনগাঁর ট্যাক্সি চালক পিন্টু হালদারকে আটক করে নিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, তার বাড়ি থেকে ১২টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়াও মিলেছে অন্যান্য নথি।
মঙ্গলবার সকালে একযোগে বনগাঁর ৩টি জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরমধ্যে রয়েছে বনগাঁ শহরের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা পিন্টু হালদার। পেশায় ট্যাক্সি চালক পিন্টু পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করার কাজ করে বলে সাধারণভাবে জানেন এলাকার মানুষ। কিন্তু এদিন ইডি দপ্তরের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে এলে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান এলাকার মানুষ। উৎসুক প্রতিবেশীরা এদিন সকাল থেকে পিন্টুর বাড়ির সামনে ভিড় জমান। যদিও বাড়ির ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধিরা। এদিন সাতসকালেই ইডির ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পিন্টুর বাড়িতে হাজির হয়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানরা।
জানাগেছে, তল্লাশি চালানোর পরপরই তার বাড়ি থেকে একটি কম্পিউটার পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, জাল আধার কার্ডও মিলেছে। পরবর্তীতে আরও তল্লাশি চালানোর পর মোট ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পিন্টু হালদারের পাশাপাশি এদিন সকালে ইডির আর একটি দল বনগাঁ থানার ভাসানপোতার জামাল উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালায়। পাশাপাশি, পেট্রাপোল থানার পেট্রাপোল গ্রামে ইয়াকুব শেখের বাড়িতেও ইডির অভিযান চলে। এদিন সকালে ইডির আরও একটি প্রতিনিধি দল পেট্রাপোল সীমান্তে ইয়াকুবের মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর সেখান থেকে ইয়াকুব শেখকে সঙ্গে করে পৌঁছায় তার বাড়িতে। এরপর তার বাড়ির ভিতরে ইয়াকুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা। তবে সেখান থেকে ইডির প্রতিনিধিরা কী কী উদ্ধার করেছেন, তা এখনও জানা যায়নি।