Tathagata, Bangladesh, বাংলাদেশকে কটাক্ষ তথাগত রায়ের

আমাদের ভারত, ২২ ডিসেম্বর: “ভারত কখনোই নিজের কোঁচড়ের মধ্যে এদের অরাজকতা সহ্য করবে না।” সোমবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের কে এক যুবনেতা হাদি-র মরার পরে মাদ্রাসা-ছাপ কাঠমোল্লা-আশ্রিত কিছু যুবনেতা খুব ফোঁস ফোঁস শুরু করেছে, এমনকি ভারত দখলের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে দেখছি। এগুলোকে সিরিয়াসলি নেবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটার ভবিষ্যৎ কী সেটা সম্বন্ধে কিছু চিন্তাভাবনা জানাচ্ছি।

দেশটাকে তৈরী করেছিল ভারত। আজকে অনেক বাংলাদেশি ভাবতে ভালোবাসে যে তাদের লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত কিছু মোল্লা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে হারিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, ভারতকে হুমকি দেবার আস্পর্ধা রাখা এই ভাবনারই পরিণাম। কিন্তু তাদের ভেবে দেখতে বলি, দেশটার আছেটা কী? দেশটাকে ফাটিয়ে ফেলা এক জনসংখ্যা ছাড়া? এই সীমাহীন, অবারিত প্রজনন দেশটির অন্যতম স্কিলসেট।

এখানেই শেষ নয়। ভারতকে এদের একটা বড় অংশ যতই ঘৃণা করুক, তারা এদের আল্লার কাছে নালিশ জানাতে পারে, কেন তিনি তাদের দেশকে হিন্দু ভারতের এককোণে ঠুসে দিয়েছেন? ভূগোল তাদের এমন শাস্তি দিয়েছে যে ভারতের মুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়া তাদের উপায় নেই। দেশটাতে কোন খনিজ নেই, সাধারণ পাথর পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।

পাটদ্রব্য আর সেলাই করা জামাকাপড় (তাও কাপড়টা অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়) ছাড়া এদের কিছুই রপ্তানিযোগ্য নেই। অন্য দেশের দয়ায় এদের বেঁচে থাকতে হবে। আর সেই দয়া গ্রহণের পথে যদি ভারত বাধা দেয় তাহলে তো ঠ্যাং ছড়িয়ে কাঁদতে হবে, আর মাঝে মাঝে লুঙ্গি তুলে চোখ মুছতে হবে।

দেশটা বর্তমানে সম্পূর্ণ অরাজকতায় ডুবে আছে। ভারত যে কোনো মুহূর্তে এদের টুঁটি চেপে ধরতে পারে, জল বন্ধ করে দিতে পারে, আকাশপথ ও সমুদ্রপথ বন্ধ করে দিতে পারে, চিকিৎসা করতে আসা বন্ধ করে দিতে পারে। এসব চিন্তা বোধ হয় গর্দভ উপদেষ্টা ইউনুসের মাথায় আসেনি। শুধু আল্লাহু আকবরের ভরসায়, আর এক ভিখারি দেশ পাকিস্তানের দয়ায় কতদূর বেঁচে থাকতে পারে সেটা এবার দেখুক।

এর মধ্যে আবার হাসিনাকে ফেরত চাইছে। তা তো ভারত দেবেই না, উল্টে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভু ও অধ্যাপক আবুল বরকতকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ ইত্যাদিরা কোথায় আছেন জানি না, তাঁরা জেলে থাকলে তাঁদেরও মুক্তি দিতে হবে। ভারতের প্রতি বাংলাদেশের ঋণ স্বীকার করতে হবে, এই ল্যাংড়া উপদেষ্টাকে তাড়িয়ে দায়িত্বশীল সরকার গঠন করতে হবে। নচেৎ ফল খারাপ হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *