আমাদের ভারত, ১৭ আগস্ট: রোহিঙ্গাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার প্রকাশ্য বিরোধিতা করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
কেন্দ্রীয় আবাসন, নগরোন্নয়ন, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বুধবার টুইটারে লিখেছেন, “যারা দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছেন তাঁদের ভারত সবসময়ই স্বাগত জানিয়েছে। একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে সমস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। তাঁদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, ইউএনএইচসিআর আইডি এবং সার্বক্ষণ দিল্লি পুলিশের সুরক্ষা দেওয়া হবে।” এই বার্তা হরদীপ পুরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের টুইটারে যুক্ত করেছেন। এই সাড়া দিয়েছেন অমিত শাহ-সহ কয়েকজন।
প্রতিবাদে তথাগতবাবু টুইটারে লিখেছেন, “এটা অবিশ্বাস্য স্যার! রোহিঙ্গা মুসলিমরা সিএএ-র অধীনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, উদ্বাস্তু নয়! মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশেও তারা স্পষ্টতই অবাঞ্ছিত! আমরা কি আমাদের সমস্ত নীতিকে বিদায় জানিয়েছি? আমরা কি নিজেদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আলোকিত হতে যাচ্ছি! নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তথাগতবাবু।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে যখন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিতর্ক চলছিল, ভারতের কি সত্যিই তাদের নির্বাসন করা উচিত নাকি মানবিক অবস্থান গ্রহণ করা উচিত— ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ ‘শরণার্থী’ এবং ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর’ মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরতে একটি সেমিনারের আয়োজন করে। সেই সময় সেমিনারের কনসেপ্ট নোটে বলা হয়, “প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয়-জাতিগত নির্মূলের শিকার যারা অনাদিকাল থেকে শাশ্বত ভারতের অংশ ছিল কিন্তু ১৯৪৭ সালে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, তারা ভারতে আশ্রয় এবং পুনর্বাসনের অধিকারী, কিন্তু ভারতের বাইরে থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা নয়”। নয়াদিল্লিতে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির ওই সেমিনারের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার তৎকালীন রাজ্যপাল তথাগত রায়।