আমাদের ভারত, ২ নভেম্বর: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর একের পর এক ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেখানে হিন্দুদের প্রতি মুসলমানদের আচরণের কড়া সমালোচনা করলেন নির্বাসিত লেখিকা।
তসলিমা বরাবর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব। প্রায়শই তাঁকে দেখা গেছে সংখ্যালঘুদের উপর জেহাদিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে। আবারও তিনি এই বিষয়ে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের অ্যাকাউন্টের দেওয়ালে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান বাংলাদেশের নাগরিকদের মারধর করেছে, তাদের মন্দির ভেঙ্গেছে, বাড়িঘর লুঠ করেছে, সহায় সম্পত্তি নষ্ট করেছে। নাগরিকরা মুসলমানদের ভয়ে কুঁকড়ে আছে।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ সরকার কোন পক্ষ নিচ্ছেন? বর্বর মুসলমানদের পক্ষ, নাকি অসহায় আতঙ্কিত নিরপরাধ নাগরিকদের পক্ষ?”
তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রশ্ন, “নাগরিকদের কি সরকার নিরাপত্তা দিচ্ছেন? ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ কি দিয়েছেন সরকার? এখনো না দিয়ে থাকলে কবে দেবেন?”
এটি ছাড়াও অপর একটি পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, “২৪ বছর দেশে নেই আমি। তারপরও আমাকে হত্যা করার শখ এদের যায় না। ইসলামের নামে ঘৃণা, বিদ্বেষ আর খুনের উস্কানি ছড়ানো ছাড়া এই বদ লোকদের আর কোনও কাজ নেই। এদের রুটিরুজিই গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চেঁচানো, লোককে বুদ্ধু বানিয়ে টাকা হাতানো, প্রতারণা করা আর রাস্তা ঘাটে ভায়োলেন্স করা। এদের আর কিছু নেই, মূর্খ লোকসংখ্যা আর সরকারি আস্কারা ছাড়া।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নানা উৎপীড়নের ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক সংখ্যালঘু হিন্দুরা জানাচ্ছেন, তারা অহসয়া অবস্থায় সেখানে পড়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।