আমাদের ভারত, ১০ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা করা হামলাকারীদের গ্রেফতার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানালেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সোমবার রাতে তিনি সামাজিক মাধ্যমে এ ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছেন, মঙ্গলবারও তাতে বেড়ে চলেছে প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা।
তসলিমা লিখেছেন, “৩ ডিসেম্বর রাতে সুনামগঞ্জের মংলারগাঁও ও মণিগাঁও পূর্ব হাঁটিগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলায় দোয়ারাবাজার লোকনাথ মন্দির ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ১৫ লাখ টাকা। উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতির বসতভিটা ও পারিবারিক মন্দিরও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই ভয়ে সিলেটসহ অন্যত্র চলে গেছে।
আটক হওয়া তরুণ আকাশ দাসের ফেসবুক পোস্টে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দুদের ওপর কয়েক ঘণ্টা হিন্দুবিদ্বেষী মুসলিমরা এ হামলার ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীদের গ্রেফতার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।”
শ্বপ্তস্য ভৌমিক লিখেছেন, “কোনও সাহসী মানুষ কখনো দুর্বলকে পীড়ন করে না। যারা মানসিক দিক দিয়ে যত বেশি দুর্বল তারা সম্মিলিত ভাবে সংখ্যার প্রাধান্যে অল্প সংখ্যক মানুষকে অত্যাচার করে তত বেশি আনন্দ পায়। এটা আদতে চূড়ান্ত কাপুরুষতা।
ভাস্কর নাথ লিখেছেন, “দেশ একদিন ছিল হিন্দুদের, আজ সেখানে হিন্দুদের বাক স্বাধীনতার অধিকার নেই। সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা অনতিবিলম্বে ফেরৎ চাই, তার জন্য অবশ্য সহিংস আন্দোলনের প্রয়োজন।
গৌতম বিশ্বাস লিখেছেন, “ভারত যুদ্ধে জড়াবে না। যদি বাংলাদেশের তরৎ থেকে ভারত আক্রমণ করে, তাহলেই বাংলাদেশের মানচিত্র পুনর্গঠন করা হবে।কেন মহাশক্তিধর দেশ ভারত যুদ্ধ করছে না? বাংলাদেশের কিছু মানুষদের ব্যাখ্যা, মোদীজী প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। তাহলে বলি এই ধারণার বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশ থেকে উত্তেজক মন্তব্য ভারতবাসীদের উত্যক্ত করছে। মোদীজীর নীরবতা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক দীর্ঘ মেয়াদী বার্তা। আমি ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না। মোদীজীর এক ইশারায় বাংলাদেশ মুহূর্তে মধ্যে খন্ডিত অথবা নিশ্চিহ্ন হতে পারে। যারা ভারত তথা মোদীজীর কাজ লক্ষ্য রাখেন, তাদের নিকট সহজ উপলব্ধি।”