প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য তারাপীঠ মন্দির কমিটির

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১ এপ্রিল: মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আট লক্ষ টাকা সাহায্য করল তারাপীঠ মন্দির কমিটি। কোথাও কোথাও আবার অভুক্ত ও দিনমজুর পরিবারের হাতে খাবার পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভুক্তদের দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা এখন অব্যাহত। বহু মানুষ এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

করোনা ভাইরাসে দেশে বিপর্যয়ের কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল গঠন করেছেন। সেই ত্রাণ তহবিলে তিন ও পাঁচ লক্ষ টাকার চেক রামপুরহাট মহকুমা শাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয় তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। এছাড়াও তৃণমূলের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মহকুমা শাসকের হাতে। বুধবার বেলার দিকে রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিটি দিনমজুর পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু ও আটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তুলে দেন বিজেপির মহিলা নেত্রী রেশমি দে।

এদিকে রামপুরহাটে পুলিশ প্রশাসন, বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং রামপুরহাট প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে ভবঘুরেদের খাবার পরিবেশনের অব্যাহত। দুই শতাধিক অভুক্ত মানুষের মধ্যে দুবেলা খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী কামাল হাসান, মাড়গ্রামের শিক্ষিকা নুরজাহান খাতুন, কুরুমগ্রাম মধ্যপাড়া কালিপুজো কমিটি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত চাল দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পান্থ দাস। কামাল হাসান এবং সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন খাওয়াদাওয়া চালু রাখতে আরও সাহায্য করবেন।

চোখের চিকিৎসা করতে গিয়ে হায়দ্রাবাদে আটকে পড়েছেন বীরভূমের সাংবাদিক গোপাল চট্টোপাধ্যায়। তিনিও পুলিশ-সাংবাদিকদের এই কাজে সাহায্য করতে অর্থ সাহায্য করেছেন। কুরুমগ্রাম মধ্যপাড়া কালীপুজো কমিটির সঞ্জীব সিনহা, দেবাশিস কর্মকার, সোমনাথ মজুমদাররা বলেন, “সাত দিন ধরে যেভাবে অভুক্তদের খাওয়ানো হচ্ছে তা খুব ভালো উদ্যোগ। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে একদিনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলাম। আগামী দিনেও পাশে দাঁড়াতে চাই”। নলহাটির ভদ্রপুর গ্রামের জীবনসাথী বন্ধু গ্রুপের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ সীমান্তের নাকপুরে বহিরাগত লরি চালক এবং অসম থেকে ব্যবসা করতে আসা আটকে পরা মানুষজনের হাতে চাল, ডাল, আলু, সবজি, বিস্কুট তুলে দেওয়া হয়। রান্নার জন্য তাদের কেরোসিনও দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *