আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৪ নভেম্বর: দুরত্ব বিধিকে শিকেয় তুলে তারাপীঠ মন্দিরে সকাল থেকে চলল মা তারার পুজো। তবে বিগত বছর গুলির তুলনায় এবার মন্দিরে পুন্যার্থীদের সংখ্যা ছিল কম।
আজ কালী পুজো। তারাপীঠে এদিন মা তারাকে কালী রূপে পুজো করা হয়। সব দেবীর উর্দ্ধে মা তারা। তাই তারাপীঠে কোন দেবী মূর্তি পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত দেবী মূর্তির পুজো করা হয় সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে। শনিবার তাই মা তারাকেও শ্যামা রূপে পুজো করা হল। এদিন মায়ের নিত্য পূজার্চনার পাশাপাশি শ্যামা রূপে মায়ের বিশেষ আরাধনা করা হয়।
আর পাঁচটা দিনের মতো মা তারাকে এদিন ভোরবেলা স্নান করানো হয়। এরপরেই মা তারাকে অষ্টধাতুর মুখাভরন, মুণ্ডমালা, মুকুট, সোনার অলঙ্কার, শোলা ও ফুল মালা দিয়ে শ্যামা রূপে সাজানো হয়। এরপর শুরু হয় মঙ্গলারতি। মায়ের প্রথম পুজোর সঙ্গে দেওয়া হয় শীতলা ভোগ। আর পাঁচটা দিনের মতো এদিনও মায়ের নিত্যভোগ হয়। এদিন দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয় কৃষ্ণ চতুর্দশী। ফলে তারপর থেকে মা তারাকে শ্যামা রূপে পুজো শুরু করা হয়। মা তারাকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। কোভিডের কারনে এবার লোকসংখ্যা কম হলেও দুরত্ব বিধি যেন শিকেয় তোলা ছিল। মনে হচ্ছিল একদিনের জন্য করোনা ছুটি নিয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দুরত্ব বিধি মেনে পুজো দেওয়ার জন্য সর্বক্ষণ মাইকে প্রচার চালাচ্ছি। কিন্তু কিছু মানুষ পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধব নিয়ে পুজো দিতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তবু যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।