গনগননে আগুনে পুড়ে লাল হয়ে যাওয়া মাটির ভাঁড়ে নলেন গুড় মেশানো ঘন চা, উপরে কয়েক কুচি কেশর, তন্দুরি চায়ে মজেছে রায়গঞ্জ

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২১ জানুয়ারি: শীতের আমেজে গরম চায়ে চুমুক দিতে কে না চায়! আর সেই চা যদি হয় তন্দুরি, তাহলে তো কথাই নেই। সেই তন্দুরি চায়ের ভাঁড়ের এখন রাজ্যের সবপ্রান্তেই দেখা মিলছে। কিন্তু রায়গঞ্জ শহরের তন্দুরি চায়ের মজাটাই একেবারে আলাদা। কেন? এই চা যে তন্দুরি নলেন গুড়ের চা। শুধু নলেন গুড়ের চা’ই নয় রায়গঞ্জ শহরের স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার ধারে পেয়ে যাবেন তন্দুরি কফিও। আর তাই গতানুগতিক লাল চা, লেবু চা আর দুধ চায়ের গন্ডি পেরিয়ে এখন প্রতি সন্ধ্যায় তন্দুরি চায়ের স্বাদেই মজেছেন রায়গঞ্জবাসী। ঠান্ডার আমেজ পড়তেই রায়গঞ্জ স্টেশন চত্বরের এই তন্দুরি চায়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে চায়ে পে চর্চায় বাঙালির।

উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের গা ঘেঁষে ঠিক রেলওয়ে ফ্লাইওভারের নীচেই দিন কয়েক আগেও অন্ধকারে ঢাকা থাকত। যদিও বর্তমানে তন্দুরি চায়ের দৌলতে এই জায়গাটা এখন জমজমাট, রায়গঞ্জবাসীর কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। কেশর মেশানো বা নলেন গুড়ের তন্দুরি চা বা তন্দুরি কফি নিয়ে গল্প করতেই কেটে যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। গনগনে আগুনে পুড়ছে ছোটবড় মাটির ভাঁড়। সেই ভাড় লাল হয়ে গেলে চায়ের ক্যান থেকে তাতে চা ঢেলে নলেন গুড় বা কফি মিশিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। আর নতুন এই চায়ের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। রায়গঞ্জে এই নতুন চায়ের স্বাদ নিয়ে দোকানের মালিক অর্ঘ্যকমল আচার্য জানালেন, ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে এই কেশর, কফি ও নলেন গুড়ের তন্দুরি চায়ের স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে রায়গঞ্জ স্টেশনের দুনম্বর প্ল্যাটফর্ম ঘেঁষা উড়ালপুলের নীচের এই জায়গাতে। প্রতিদিন বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক থেকে দেড় হাজার কাপ তন্দুরি চা বিক্রি করছেন তিনি। রায়গঞ্জ শহরের মানুষের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই তন্দুরি চা।

অন্যদিকে নতুন ধরনের চায়ের স্বাদ পাওয়া রায়গঞ্জবাসীর বক্তব্য, শীতের রাতে ঠান্ডার আমেজ গায়ে মেখে এই তন্দুরি চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেওয়ার মজাটাই আলাদা। যাঁরা একবার এর স্বাদ পেয়েছেন, তাঁদের বার বার টানবে এই তন্দুরি নলেন গুড়ের চা আর কফি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *